1. info@dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত : দৈনিক আশার দিগন্ত
  2. info@www.dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর চেয়ারম্যান মি.আগষ্টিন পিউরিফিকেশন

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ইব্রাহিম হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ২৪ এপ্রিল ২৪ ইং তারিখে”সমবায় লুটে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের সম্পদের পাহাড় উৎস কোথায়”ও গত ২ মে ২৪ ইং তারিখে”সুপ্রিম কোর্টের রায় উপেক্ষা করে কালবে চেয়ারম্যান পদে আগষ্টিন পিউরিফিকেশন”এই শিরোনামে দুই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকায় যে সংবাদে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বিভ্রন্তিমূলক তথ্যের মধ্যেমে আমার দীর্ঘ দিনের সোসাইটির রাজনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।তিনি বলেন,আমরা গৃহ সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ’ শ্লোগান নিয়ে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল; পহেলা বৈশাখের দিনে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ। হাউজিং সোসাইটির পথচলায় সাতচল্লিশটি বছর পদার্পণ করেছে। সুদীর্ঘ এ চলার পথে সোসাইটিতে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন নেতৃত্ববৃন্দ দায়িত্ব পালন করেছেন। সময়ের পালাক্রমে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আমি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোসাইটির উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মেধা, শ্রম ও দূরদৃষ্টিসম্পন্নের মাধ্যমে হাউজিং সোসাইটিতে আমি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ত্রাতা হয়ে আসেছি। এরপূর্বেও আমি বিভিন্ন সময়ে হাউজিং সোসাইটিতে বিভিন্ন পদে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা দেশের সরকারের গৃহীত উন্নয়ন ব্যবস্থায় ‘টেকসই ও উৎপাদনমূখী সমবায় গড়ার লক্ষ্যে’ ও বর্তমান সময়ে সরকারের সমবায় গড়ছে দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’- মূলমন্ত্রের আলোকে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে সোসাইটির উন্নয়নে বিভিন্ন আয়মূলক প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করেছি যাচ্ছি।তিনি আরো বলেন, আমি সম্মানিত সদস্য-সদস্যাদের প্রত্যক্ষভোটে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচিত হয়ে আমা পরিষদ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। সেই সময় সোসাইটি জর্জরিত ছিল নানা জটিল সমস্যায়। একদিকে সোসাইটির তহবিল ছিল শূণ্যের কোঠায় অপরদিকে বিবিধ অনিয়ম ও সীমাহীন দূর্ণীতি ও লুটপাটে সোসাইটির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ছিল স্থবির। আমি চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই এই অচলাবস্থা থেকে সোসাইটিকে সুগঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ফলে, একদিকে যেমন দূর্ণীতি ও অর্থ আত্মসাতের মূল উৎপাটনে সাহসিকতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তেমনি সোসাইটির অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করার লক্ষে নানা কৌশল অবলম্বন করেছি, ফলশ্রুতিতে, সকল প্রতিকূলতা জয় করে সোসাইটিকে সুশৃংখল ও সুগঠিত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।আমার পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ হতে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সোসাইটির পরিসম্পদ ছিল মাত্র ২২২ কোটি টাকা ও দায় দেনা ও ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি টাকা। সেখানে আমার পরিষদ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ৩৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে জমির পরিমান ছিল ২৭৭ বিঘা সেখানে বর্তমানে ব্যবস্থাপনা কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০০ বিঘা জমিতে উন্নীত করে ৭৭টি প্লট প্রকল্পে মোট ৪৪৯০টি প্লটে উন্নীত আমরা করেছি। একই সময়ের ব্যবধানে অর্থাৎ ফ্ল্যাট প্রকল্পে তুলনানামূলক চিত্রে দেখা যায় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে ১২টি ফ্ল্যাট প্রকল্প ছিল যা আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমানে ২০৩টি ফ্ল্যাট প্রকল্পে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। সোসাইটির উন্নীত এই নীড়-২০৩ হলো ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য ক্রয়কৃত জমির নির্ধারিত বিল্ডিং নম্বর যেখানে ১৫৯৬টি ফ্ল্যাটে এলোটিগণ বসবাসের সুযোগ পাবেন। আমি আমার পরিষদ নিয়ে ৪০টি ফ্ল্যাট বিল্ডিং বাস্তবায়ন করেছি এবং এসকল ফ্ল্যাটে ৪২৬টি পরিবার বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন এবং আরও ১৯টি ফø্যাট বিল্ডিং নির্মাণাধীন যেখানে আমরা আরও প্রায় ২০০টি পরিবারের বসবাসের সুযোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। অবশিষ্ট ফ্ল্যাট প্রকল্পের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আশার কথা হলো-এ সকল প্লট ও ফ্ল্যাট প্রকল্পগুলোতে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তের ফলে খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করার সুযোগ পেয়েছেন। ফলশ্রুতিতে, হাউজিং সোসাইটির মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনের অটুট চিহ্ন প্রকাশ পেয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন সোসাইটির আয়মূলক প্রকল্পের মাধ্যমে অবদান : সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে হাউজিং সোসাইটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন তিনি তার পরিষদ নিয়ে তাদের দূরদর্শিতা চিন্তা প্রয়োগের মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। প্রকল্পগুলো ঢাকা অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটির অবস্থান।রিসোর্ট কাম ট্রেনিং সেন্টার এন্ড রেস্টুরেন্ট : ‘নীড় রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট’ ঢাকার অদূরেই স্বল্প সময়ের যাত্রাপথে গাজীপুরের পুবাইল-ডেমরপাড়ায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় চল্লিশ বিঘা জমিতে প্রকৃতির অপরূপ মনোরম পরিবেশে সভা-সেমিনার, পিকনিকসহ যেকোন অনুষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। ৬তলা বিশিষ্ট মূল ভবনের পাশাপাশি এতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, স্পা ও জীম, কীডস জোন, প্রশস্ত খেলার মাঠসহ আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। নীড় রিসোর্ট প্রকল্পটি চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের এক ঐতিহাসিক ও বর্তমান বাস্তবতার উন্নয়ন প্রকল্প এটি। শান্তির নীড় প্রবীণ নিবাস ও গেস্ট হাউজ : সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ প্রকল্পটি চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন তিনি বর্তমান বাস্তবতা অনুভব করে বাস্তবায়ন করছেন। এ সময়ে একান্নবর্তী পরিবারগুলো নিজেদের মতো করে মানিয়ে চলতে ভালোবাসেন। ফলে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় পরিবারের অনেকেই প্রবাসী জীবন-যাপন করতে চলে যান। এদিকে পরিবারে বয়োজ্যেষ্ঠ্য মা-বাবা বা স্বজন যদি থাকেন সন্তানদের শত ইচ্ছে থাকলেও তাদের কাছে রাখতে পারেন না সেবা করার জন্য বা ছেড়ে যেতে মন সায় দেয় না। এমন বাস্তবতায় হাউজিং সোসাইটি গাজীপুরের উলুখোলার মঠবাড়িতে ১৩১ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তুলেছেন প্রবীণ নিবাস ও গেস্ট হাউজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে আন্তঃধর্মীয় ৩৩ কক্ষে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ১১১ জন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিগণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। উপরন্ত, প্রবাসী সন্তান-সন্ততিও তাদের মা-বাবা বা বয়োজ্যেষ্ঠ স্বজনদের দেখা করার জন্য একত্রে বসবাস করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি পারিবারিক প্রশান্তি পেতে গেস্ট হাউজ হিসেবে থাকার সুযোগ পাবেন। প্রকল্পটির অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে এবং কয়েক মাসের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু হবে।থিমপার্ক ও রেস্টুরেন্ট এন্ড রিসোর্ট : এই প্রকল্পটিও শহুর জীবন থেকে প্রশান্তি দিতে বা সুস্থধারার পারিবারিক বিনোদন দিতে টঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট হাইওয়ে রোডের কালিগঞ্জের দড়িপাড়ায় প্রায় ১০৫০ শতাংশ জমিতে তৈরী করা হচ্ছে। হাইওয়ে রোড সংলগ্ন হওয়ায় দীর্ঘযাত্রার পথে প্রশান্তি দিতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদনের জন্য রয়েছে উন্নতমানের বিভিন্ন রাইড। রাত্রিযাপনেও রয়েছে ব্যবস্থা। ফলে অত্র অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রাণবন্ত মানসিক প্রশান্তি দিতে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম চলতি বছরেই শুরু করা হবে।সেন্ট ফিলোমিনা মা ও শিশু এন্ড জেনারেল হাসপাতাল : প্রয়োজনীয় মুহূর্তে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে ঢাকার অদূরে সাভারের রাজাসন এলাকায় তৈরী করা হচ্ছে নয়তলাবিশিষ্ট বিল্ডিং ১৫০ বেডের হাসপাতাল। ইতিমধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু হবে। অত্র অঞ্চলের সকল মানুষ চিকিৎসা সহায়তা পাবেন। ছাত্রীবাসে যেসকল ছাত্রীগণ ঢাকায় এসে ভালমানের কলেজে পড়াশুনা করতে চায় তাদের থাকা-খাওয়া সমস্যা দূরীকরণে ফার্মগেইটে ছয়তলাবিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে। ৫০জন ছাত্রী একসঙ্গে বসবাস করে পড়াশুনা নির্বিঘে চালিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব এ প্রকল্পটিতে। ছাত্রীবাসের ভর্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।উল্লিখিত প্রকল্পগুলো ছাড়াও হাউজিং সোসাইটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন দেশের উন্নয়নে স্বাক্ষর রাখতে আরও কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে গাজীপুরের বিন্দানে অটো-ব্রিকস প্রকল্প, সাভারে স্পিনিং মিল উল্লেখযোগ্য। হাউজিং সোসাইটির সদস্যগণ তাদের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ঋণ গ্রহণের সুবিধা ভোগ করার সুযোগও পেয়ে থাকেন। সোসাইটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের সাহসী পদক্ষেপে প্রধান কার্যালয় নির্মাণ: বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় ও দৃঢ় পদক্ষেপে সোসাইটির প্রধান স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণ করেছেন এবং বিগত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ, পুরাতন কার্যালয় চার্চ কমিউিনিটি সেন্টার হতে নতুন কার্যালয়ে সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সোসাইটির নবনির্মিত স্বপ্নের প্রধান কার্যালয় বিগত ১৯ নভেম্বর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়। দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা ও সুসজ্জিত ইন্টেরিওর সমৃদ্ধ স্থায়ী কার্যালয়টি আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্বারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে মহামান্য আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও এর নামানুসারে ‘আর্চবিশপ মাইকেল ভবন’; যিনি সোসাইটি গঠনের প্রথমদিকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। কর্মসংস্থান : বর্তমান চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন হাউজিং সোসাইটিতে যেসকল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করেছেন সেখানে বহু লোকের কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবস্থাপনা কমিটির সুদক্ষ পরিচালনায় যেসকল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন সেগুলোতে সকল জনগোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সোসাইটি যেমন দেশের অর্থনেতিক চাকা সচল রাখতে অবদান রাখছে তেমনি এ সকল প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগের ফলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনয়নে স্মরণীয় ভূমিকা রাখছে। সোসাইটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাঁচশতাধিক কর্মযোগের ফলে এ সকল পরিবারগুলো স্বাভাবিকভাবে জীবন নির্বাহ করতে পারছে। বেকারত্ব থেকে মুক্তি-এ বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করা হয়েছে বলেই বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির কৃতিত্বে খ্রিষ্টান পরিবারগুলোর চিন্তা হতে অবমুক্তি লাভ করেছেন।জাতীয়-আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন : হাউজিং সোসাইটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন তার পরিষদ নিয়ে সোসাইটিতে অদ্যাবধি যেসকল কর্মপ্রচেষ্টা বাস্তবায়ন করেছেন তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কারসহ সুনাম অর্জন করেছেন। বিশেষ করে চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে দেশের জাতীয় শ্রেষ্ঠ সমবায়ী স্বর্ণপদক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হাউজিং সোসাইটি জাতীয় শ্রেষ্ঠ সমবায়-২০১৯ স্বর্ণপদক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তাছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সোসাইটির চেয়ারম্যান পুরস্কার অর্জন করেছেন। বিশেষ করে কলকাতা মৈত্রী সম্মাননা-২০১৮; নেপাল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পুরস্কার-২০১৯; কোভিডের সময় গান্ধী পীচ অ্যাওয়ার্ড, স্টার অব দি ইয়ার-২০২০, সমাজরতœ সম্মাননা, বিফা-২০২৩ সহ আরও নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ সকল পুরস্কার অর্জনে হাউজিং সোসাইটি যেমন গর্বিত তেমনি একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তি হিসেবে মান্ডলিকভাবে সুনাম অর্জন করেছেন যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান: নুতন গির্জা নির্মাণ বা পুরাতন গির্জাঘর মেরামত, কবরস্থান নির্মাণ কাজে হাউজিং সোসাইটির সহায়তা করা একটি উল্লেখযোগ্য কর্মকা-। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত প্রায় সকল মা-লিক অনুষ্ঠানে সহায়তা করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিশপীয় অধিষ্ঠান, যাজকীয় অভিষেক, ব্রতধারী-ব্রতধারিণীদের জয়ন্তী উৎসব, বিশপীয় ভবন, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাউজিং সোসাইটি সকল সময়েই অবদান রেখে চলেন। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত প্রতিটি এলাকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সংঘ, সমিতি বা ক্লাব। এই সকল সংগঠনগুলো কোন না কোন দৃষ্টিকোণ থেকে মান্ডলিকভাবে ধর্মপল্লীর সহায়তা রয়েছে যেন যুব সমাজ আধ্যাত্মিকভাবে নেতৃত্বের গুনে বলিয়ান হয়ে উঠতে পারে। প্রতিবছরই বড়দিন ও ইস্টারের সময় সংগঠনগুলো নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশ করে থাকেন। এমনকি সংগঠনের মাধ্যমে এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এক্ষেত্রেও হাউজিং সোসাইটির অবদান উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন।উপসংহারে বলা যেতে পারে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ দিনদিন যেভাবে সদস্যদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছেন তা অনাগত দিনগুলোতেও অক্ষুন্ন থাকবে। বরং অদূর ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন সময়ের ধারাবাহিকতায় সময়োপযোগী আরও নিত্যনতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সদস্যদের কল্যাণে হাউজিং সোসাইটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে॥

পরিশেষে মি.আগষ্টিন পিউরিফিকেশন এর সাথে কথা হলে, তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেন,সোসাইটির বর্তমান স্বচিত্র উন্নয়ন অবলোকন করুন। সোসাইটির বিরোধিতা করার জন্যেই কেবল বিরোধিতা করা এমন মানসিকতা নিয়ে একটি মহল সর্বদাই অপপ্রচারে ব্যস্ত থাকেন। তাদের দুষ্ট কথায় কান না দিয়ে সোসাইটির কার্যালয়ে এসে বাস্তব অবস্থা অবগত হবার জন্যে আমি সম্মানিত সদস্য-সদস্যাদের আহবান জানাচ্ছি। সকলে ভালো থাকুন। সোসাইটির কাজে সহায়তা করুন এবং কালোকে কালো বলুন এই কামনা করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
𝐂𝐫𝐚𝐟𝐭𝐞𝐝 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐛𝐲: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓