কলমে-মানব মূখার্জী
অনেক সেজেছি শেষ মুহূর্তে তোমায় দেখবো বলে,
মনে পড়ে স্বপ্ন দেখেছি.. স্বার্থের কোলে শুয়ে,
ভালোবাসা ছিল; প্রেম ছিল না ,ক্ষণিকের ভূ কম্পন –
তবুও কেঁপেছি, তবুও জ্বলেছি, জ্বলেছে আপনজন।
শীতের দিনে তোমায় পেয়ে উষ্ণ হয়েছি কত!
যীশুর দিনেই দিন গুনেছি; বছর ঘুরেছে যত…
লুকিয়ে লুকিয়ে মনের কথা,,, টপ করে জল পড়ে,
আজও ভাবলে ভেতরে কোথাও কি যেন একটা নড়ে।
তোমার মুখের ‘ওই হাসিটা’ বদনাম করলো আমায়,
মনে পড়ে; তখন আমি যৎসামান্য কামাই।
কিবা বলছি! কাকে বলছি! আজ আমি দিশাহীন,
ক্ষয়তে ক্ষয়তে কলম ধরেছি, হয়েছি বেদুইন।
’মা’ নাম এখনো ডাকি মা নেই কাছে..
তোমাকেই তো আগে ভেবেছি, মাকে রেখেছি পিছে।
“তীর্যক ওই অপমান” নির্লজ্জ করেছে আমায়,
কাউকে দেখিনি, কিছুই শুনিনি, কলেজ করেছি কামাই।
কুড়িটা বছর কেটে গেছে… এখন তুমি স্মৃতি,
বিয়ে করেছি; সন্তান আছে, মেনেছি সামাজিক রীতি।
মন ভেঙেছে, কে ভেঙেছে? ভেবে ভেবে.. ভাবুক,
ভাবলে পরে ব্যথা দেয়- অদৃশ্য চাবুক।
ভালোবাসা উপচে পড়ে, আজও আমি প্রেমিক..
জীবন ছুটছে… যদিও বাজছে; পুরনো প্রেমের রিমিক।
Leave a Reply