কামরুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধায় এসেকেএস ফাউন্ডেশন এর মিটিং হল রুমে বন্যার আগাম সাড়াদান প্রকল্প “Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Costal Areas of Bangladesh” এর আয়োজনে দিন ব্যাপী জেলা পর্যায়ে দূর্যোগ ইন্টারপ্রেটারপুল এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এসকেএস ফাউন্ডেশন প্রকল্পের আওতায় সূচনা বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা দূর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম।এতে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সহায়ক অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকা এর সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পার্থ প্রতীম বড়ুয়া,রাইমস (RIMES) এর তানজিলুর রহমান,সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র অফিসার -এডভোকেসি মোছাঃ আফ্রিদা নাজিবা, ফুলছড়ি উপজেলার ফেডারেশন সভাপতি মোছাঃ বিথি বেগম।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান গাইবান্ধা,সেভ দ্য চিলড্রেন এর ফোকাল তাজুল ইসলাম, প্রকল্প কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার পাল, মোঃ রেজাউল করিম, এবং মলয় কুমার সরকার প্রমুখ।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দূর্যোগ ইন্টারপ্রেটারপুল টিমের উপজেলা ভিত্তিক ২০ জন করে মোট ৬০ জন সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
মূলতঃ এই প্রশিক্ষণ দূর্যোগ ইন্টারপ্রেটার দলের সদস্যদের বন্যার ধরন ও দূ্যোগ বিষয়ক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। যেখানে দূর্যোগে বন্যার পূর্বাভাস, সতর্কীকরণ,দূর্যোগের পূর্বে আগাম প্রস্তুতি ও ঝুঁকি এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।ল্লেখ্য যে, এসকেএস ফাউন্ডেশন “Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Costal Areas of Bangladesh” নামক প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গাইবান্ধা জেলায় গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মোট ১২ টি ইউনিয়নে কাজ করে আসছে। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন এর সার্বিক সহযোগিতায় রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্পটি বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রম জোড়দান করনের মাধ্যমে বন্যা কবলিত লক্ষিত জনগোষ্ঠীর সম্পদ ও জীবন মানের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সংশ্লিষ্টসকল স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্টতায় কার্যকারী সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের ভূমিকা রাখছে।
Leave a Reply