কাজী মোস্তফা রুমি,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সময়ের কণ্ঠস্বর, টাঙ্গাইল সমাচার, টাঙ্গাইল প্রতিদিন সহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নাগরপুর উপজেলা শাখা এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বিশেষ করে যুবদল, কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর নামে নিরব চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশিত হয়েছে যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ নীতিনির্ধারক মহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯ সেপ্টেম্বর’২৪ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২:০০ ঘটিকার সময় নাগরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত প্রতিবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নাগরপুর উপজেলার শাখার পক্ষ হতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক, রাজপথ থেকে বিকশিত নেতৃত্ব, অনববর্ষী বক্তা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রাণের স্পন্দন নাগরপুর উপজেলা বিএনপির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হবি।লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আপনারা লক্ষ্য করেছেন কি ধরনের সাংবাদিক আজ পলাতক রয়েছে। নাম বললে অনেক হবে। শ্যামল দত্ত গ্রেফতার হয়েছেন। ইকবাল সোবহান পলাতক রয়েছেন। মনজুর হাসান বুলবুল পলাতক রয়েছেন। যখনই তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ না করে একটি সরকার বা নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠীর পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে সেই সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।নাগরপুর উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে আমি সকলকে অবগত করতে চাই আমি নাগরপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার দলের নেতাকর্মী যদি এ ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও চাঁদাবাজি করে আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি এর আগেও আমি কথা দিয়েছিলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কথা দিয়েছিলাম, বর্তমানে যে এসিল্যান্ড আছে মজলুমের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নাগরপুর প্রেসক্লাবে বলেছিলাম নাগরপুর উপজেলা বিএনপির কোন নেতাকর্মী যদি কেউ অন্যায় করে আপনারা সাথে সাথে ধরিয়ে দিবেন। নাগরপুরকে ভালো রাখার দায়িত্ব যেমন আমাদের, তেমনি আপনাদের ও বর্তমান সরকার সহ সকলেরই। তাই আমি আশা করবো যদি আমার কোন নেতাকর্মী এধরনের কার্যকলাপ করে এবং তা প্রমাণিত হয় সাথে সাথে আমি দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব। আমাকে যে কোন অপরাধের বিষয়ে অবহিত করবেন আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে যদি তার প্রতিকার না করতে পারি, সমস্যার সমাধান না করতে পারি তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে নাগরপুর উপজেলায় যে সকল মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর রয়েছে আমি উপজেলা বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম এই সকল স্থাপনা যেন কোনরকম কারো দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এজন্য আমাদের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর স্থাপনা সহ মন্দির রক্ষার্থে অতন্ত্র প্রহরীর মত কাজ করেছে।আগামীতে দুর্গাপূজাসহ দশমী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে অবগত করতে চাই আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে পূজা মন্ডপে উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদল, কৃষক দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা দিচ্ছি, কারণ কোন অবস্থাতেই যেন নাগরপুরে অশান্তি সৃষ্টি না হয়। নাগরপুর কে ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের আপনাদের সকলের।এখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে বসিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপি কোন চেয়ারম্যানদের রাখতেও পারবেনা বসিয়েও দিতে পারবে না। কারণ বিএনপিতো ক্ষমতায় নেই। এটা রাখার বা বসিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রশাসনের এবং এর দায়-দায়িত্বও সম্পূর্ণ তাদের।এ গুলো সব কিছু আইনগত বিষয়। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যে সকল চেয়ারম্যানগণ অন্যায় করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেটা দেখবে পুলিশ প্রশাসন। সত্যি মামলা হলে গ্রেফতার করবে। আর সত্যি না হলে করবেনা। এই বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি কোন দায় দায়িত্ব নেবে না, নেওয়ার কথাও না।
আগামী দিনে নাগরপুরকে সুন্দর ও সুশৃংখল রাখতে আমরা নাগরপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল এবং আমাদের সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহম্মদ আলী রানা, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিয়াকত, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিজ উদ্দিন, সহ-সাধারন সম্পাদক এ.কে.এম ফরিদুজ্জামান কহিনুর, দপ্তর সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান লাভলু, পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল মোল্লা, সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূঁইয়া।এ ছাড়া নাগরপুর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের আহবায়ক/সদস্য সচিব/সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরপুরে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply