এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া ধুনটে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আঁখি খাতুন (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার (১০ই সেপ্টেম্বর) রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রী শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ী গ্রামের আলতাফ আলীর মেয়ে ও বগুড়া সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, নিহত আঁখি খাতুনের বাবা আলতাফ হোসেন প্রায় ১ যুগ আগে ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামে বাড়ি নির্মাণ বসবাস করছিলেন। ঘটনার দিন রাতে নিজ বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকা ডাকি করতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আঁখি খাতুনকে দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।নিহতর মা মরিয়ম খাতুন জানান, গত ৫ মাস আগে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্ব হরিগাছা গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে রায়হানের সঙ্গে আমার মেয়ে আঁখি খাতুনের বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের বিষয়টি ছেলের পরিবার জানে না। ঘটনার তিন দিন আগে আঁখি খাতুনের স্বামী রায়হান পড়াশোনার জন্য বগুড়ায় চলে যায়। তার মৃত্যুর পর তার ফেসবুক ট্যাটাস নিয়ে নানা সমালোচনা শুনতে পাচ্ছি।মৃত্যুর আগে আঁখি খাতুন নিজের ফেসবুক আইডিতে পরপর ৩টি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, (১) রাগ আর ত্যাড়ামি বিক্রি করা গেলে আজ আমি কোটিপতি থাকতাম..!, (২) ক্ষমা করলাম না আমি তাকে কারণ, আমি একা জাহান্নামে যেতে চাই না,, তাকে সাথে নিয়েই যাবো, (৩) আমার শুধু নিজের জন্য দু:খ হয়, নিজের মাথার ওপর হাত রাখতে ইচ্ছা হয়। নিজের জন্য মায়া হয়। নিজের জন্য চোখে পানি চলে আসে!
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ সৈকত হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রী তার নিজ কক্ষে ঘরের দরজা বন্ধ কর আত্মহত্যা করে। লাশ উদ্ধারের পর পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply