আশিকুর রহমান,কলমাকান্দা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের ধীতপুর ফকিরবাড়ী মোড়ে বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় ৪৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। রোববার রাতে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি রিটন মিয়া বাদি হয়ে কলমাকান্দা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়। গত শনিবার রাত ১টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মামলার আসামীরা হলেন, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব লীগের সাবেক সদস্য এরশাদুর রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আইনবিষয়ক সম্পাদক গাজীউর রহমান গাজী, কলমাকান্দা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বিশ্বাস, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আওয়াল মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হেলাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, কলমাকান্দা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, মন্তলা গ্রামের গোলাপ বিশ^াস, নয়াপাড়া গ্রামের ইমতিয়াজ জালাল রিব্বিসহ ৪৮ নেতাকর্মী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে কলমাকান্দা থানা এলাকায় আসামীরা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করিয়া আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবক্ষয় ঘটাচ্ছে। গত শনিবার রাত ১টার দিকে আব্দুল খালেক তালুকদার ও এরশাদুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে ধীতপুর ফকিরবাড়ী মোড়ে বিএনপি অফিস ভাঙচুর করা হয়। এসময় বিস্ফোরক জাতীয় ককটেল ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্কও সৃষ্টি করা হয়। এতে তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। মামলার বিষয়ে জানতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় যুব লীগের সাবেক সদস্য এরশাদুর রহমান মিন্টুর মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে তারা আত্মগোপনে আছেন। কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, রোববার রাতে রিটন মিয়া বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে।
Leave a Reply