শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কর্তৃক ১৯৯ মেঃটঃ চাল, গম এবং ৩৪ হাজার খালি বস্তা চুরির ঘটনায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে মর্মে পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম অফিস সূত্রে জানা যায়।তৎকালীন পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা আল মামুন সিদ্দিকী পলাশবাড়ীতে যোগদানের পর থেকেই খাদ্য গুদামের প্রবেশদ্বার (গেইটে) সব সময়ই তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। খাদ্য গুদাম থেকে কোন মালামাল লোড-আনলোডের সময় গেইট খুলে মালামাল সরবরাহকৃত গাড়ী ঢুকতে এবং বের হওয়ার সময় তালা খোলা হতো এবং সাথে সাথেই গেইটে তালা লাগানো হতো বলে এলাকাবাসী জানান। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিএফ, ভিজিডি ও ফেয়ার প্রাইজের (১৫ টাকা কেজির চাল) বিতরণে অত্যান্ত নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়। এর একপর্যায়ে ওই খাদ্য গুদাম থেকে ১৯৯ মেঃটঃ চাল, গম এবং ৩৪ হাজার খালি বস্তা চুরির ঘটনা ধরা পরে। এলাকাবাসী জানান, উক্ত চাল-গম ও বস্তা চুরির সাথে পলাশবাড়ী উপজেলার তৎকালীন খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে। চুরির ঘটনা ধরা পড়লে তৎকালীন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা আল মামুন সিদ্দিকী ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক তরিঘরি করে অন্যত্র বদলী নেন।
জানা যায়, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা আল মামুন সিদ্দিকী সুনামগঞ্জ জেলার সাল্লা উপজেলায় বদলী নেন। উক্ত ঘটনা তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় এবং দুদকে একটি মামলা হয়েছে বলে খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে মামলা দুটি উচ্চ পর্যায়ে তদন্তধীন রয়েছে এবং বর্তমানে উক্ত কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের সাল্লা উপজেলায় সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তাই এলাকাবাসী, উক্ত চাল-গম ও বস্তা চুরির ঘটনায় সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে চুরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply