রুহুল আমিন রুকু,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) রাস্তা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে বাল্কহেড দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে একটি মহল।সরেজমিনে দেখা গেছে, হাইওয়ের সরকারি রাস্তায় ড্রাম ট্রাক রেখে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ট্রাকে বোঝাই করছে শ্রমিকরা। রাস্তার পাশে একটি খালি জায়গা ভাড়া নিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে লাল্কহেড দিয়ে বালু তুলে সেগুলো সেখানে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে একটি মহল। বালুর পয়েন্টটি রাস্তার পাশে হওয়ায় বালু চুয়ে চুয়ে পানি নামছে রাস্তায়। এতে ভোগান্তিতে পরেছে পথচারী ও পাশেই থাকা মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু অটোরিকশা চালক ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে এরা। গতবছর নদীর বাম তীর রক্ষার কাজ হয়েছে। বাল্কহেডের জন্য হয়তো আর সেটা থাকবে না। বালু ব্যবসায়ীরা নদী থেকে বালু তুলে রাস্তার পাশেই একটি ফাঁকা জায়গায় রাখছে। বালু দিয়ে পাহাড় বানানোর কারণে বালুর সব পানি চুয়ে চুয়ে রাস্তায় নামছে এতে করে আমরা চরম দুর্ভোগে পরেছি। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে পারেন না বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব মানুষ।গোলাম হোসেন নামের প্রভাবশালী এক বালু ব্যবসায়ী বৃষ্টির উপর দায়ে চাপিয়ে দিয়ে বলেন, রাস্তায় বালুর পানি না। বৃষ্টির পানি। আর রাস্তায় আমাদের কোনো ট্রাক লোড হয় না। আমাদের ভাড়া নেওয়া জায়গায় ট্রাক গুলো লোড করা হয়।
সরকারি রাস্তা লিজ দিয়েছেন কিনা? না দিলে সরকারি রাস্তা ব্যবহার করে অবৈধ বালুর ব্যবসা করছে কিভাবে জানতে চাইলে সড়ক বিভাগ কুড়িগ্রাম (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা লিজ হয় নাকি। আপনি বললেন ওই খানে আমার লোক পাঠাচ্ছি।নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও তা সরকারি রাস্তা ব্যবহার করে বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ।
Leave a Reply