শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১নং খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে বলাৎকার ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, খোর্দ্দ কোমরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৩ সন্তানের জনক শহিদুল ইসলাম বিএসসি (৫৫) একটি কক্ষে ওই একই বিদ্যালয়ের এবার এসএসসি পাসকৃত এক যুবককে বলাৎকার করে এবং এর দৃশ্য কৌশলে ও গোপনে ওই চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। মোবাইল ফোনে ধারণকৃত কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ও অডিও কথাবার্তা সম্প্রতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এসব ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় বাজার এলাকাসহ অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে যায়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই চরিত্রহীন লম্পট প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ধুরন্ধর লম্পট প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বিএসসি গা বাঁচাতে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ২৬ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়েছেন। এছাড়া মোটা অংকের অর্থ ছিটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান। এদিকে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক আরেকজন বলাৎকার হওয়া পাশ্ববর্তী ভিকটিমের পিতা জানান, তিনি ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছেন এবং ছেলেকে শাসন করলে সে বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ ব্যাপারে কোনো আইনী পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি রহস্যজনক কারনে কোনো কথা বলতে না চাইলে সটকে পড়েন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বিএসসি’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগসহ তার বসতবাড়িতে গেলেও তার সাক্ষাৎ না পাওয়ায় কোনো মন্তব্য নেওয়াসম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় দোষী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সেলিনা বেগম নামে এক অভিভাবক ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন প্রধান শিক্ষকের এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে ওই বিদ্যালয়ে এসে ম্যানেজিং কমিটিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম চৌধুরী’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের এহেন ঘটনা শুনেছেন ও ভিডিও দৃশ্য দেখেছেন। তিনি আরো জানান মোটা অংকের অর্থ দিয়ে ঘটনাটি রফাদফার চেষ্টা চলছে। তবে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিবুল হক চৌধুরী রহস্যজনক কারণে লম্পট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান শিক্ষকের ন্যাক্কারজনক এহেন ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে লজ্জা ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের এহেন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবী দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
Leave a Reply