ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শিবগঞ্জ জোনাল অফিসের অধিনে ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্র, এই অভিযোগ কেন্দ্রের অধিনে প্রায় ২৫ টি গ্রামে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৫.০০০/- হাজার, গ্রাহকদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রাহক আবাসিক এবং কিছু সংখ্যক গ্রাহক বানিজ্যিক ও ক্ষুদ্র শিল্পের।জানা গেছে ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্র ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হয়, এরপর থেকে অনেক টেকনিশিয়ান এখানে ইনচার্জ হিসেবে আসলেও তেমন গ্রাহক সুবিধা দিতে পারেননি। (২০ সে নভেম্বর ২০২১) সালে ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পান টেকনিশিয়ান রওশন আলী দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কমতে থাকে গ্রাহক ভোগান্তি।নাক্কাটিতলা গ্রামের আবাসিক গ্রাহক হাবিবুর রহমান (হাবু) বলেন ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্রটি চালু হয় ৮/৯ বছর আগে, তখন এই অভিযোগ কেন্দ্রের অধিনে খুব কম সংখ্যক গ্রাহক ছিল, তবুও ভোগান্তি পোহাতে হতো অনেক, কিন্তু এখন এই ইনচার্জ আসার পর থেকে আমাদের কোন প্রকার ভোগান্তি নাই।লহলামারী গ্রামের, রাইস মিল ড্রাইভার জাক্কার হোসেন জানান, আমি ১০/১২ বছর থেকে রাইস মিলে ড্রাইভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, এর আগে আমাদের গ্রাম শিবগঞ্জ জোনাল অফিসের অধিনে ছিল, ২০১৮/২০১৮ সাল থেকে, ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্রের অধিনে যোগ হয়েছে। আমার রাইস মিলে প্রায় সময়ই ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে যেতো অনেকবার ফোন দেওয়ার পরও পাওয়া যেত না লাইনম্যানদের আজ অভিযোগ করলে পরের দিন আস্ত , ২০২২ সাল থেকে, ফোন দিয়ে অভিযোগ করলে, এক ঘন্টার মধ্যে এসে আমাদের সমস্যা সমাধান করে দেন । এখন আমাদের আর কোন ভোগান্তি নাই। নশিপুর গ্রামের আবাসিক গ্রাহক রেজাউল করিম বলেন, আমি বিশ বছর থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আবাসিক গ্রাহক, আমার বাড়ীতে প্রায় সময়ই লুজ সংযোগের কারণে বিদ্যুৎ থাকত না রওশন আসার পর আমার সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন।
ধাইনগর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ রওশন আলী বলেন, আমি এই অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে, এই অভিযোগ কেন্দ্রের ২৫ টি গ্রামে, আবাসিক বাণিজ্যিক ও ক্ষুদ্র শিল্পের প্রায় ১৫০০০/- হাজার গ্রাহক রয়েছে, অধিকাংশ গ্রাহকের সমস্যা ছিল লুজ সংযোগ, ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে যাওয়া, গ্রাউন্ডিং সমস্যা, আমি প্রত্যেকটা গ্রামের প্রতিটি বিদ্যুৎতিক খুঁটিতে কানেক্টর দিয়ে লুজ কানেকশনের সমস্যার সমাধান করেছি, ট্রান্সফরমারের সমস্যা সমাধানে প্রত্যেকটি ট্রান্সফরমার খুঁটির সঙ্গে মাটির নিচ থেকে গ্রাউন্ডিং করে দিয়েছি যাতে অকারনে ট্রান্সফরমার ফিউজ কেটে না যায়, গ্রাহক সেবার পাশাপাশি, এই অভিযোগ কেন্দ্রের অধিনে, শত পারসেন্ট বকেয়া, বিল আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। আন্ডার সাইজ তার পরিবর্তন করে হায়ার সাইজ তার স্থাপন সার্কিট বিভাজন ট্রান্সফরমার আপগ্রেড সহ রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন কোনো প্রকার কাজ পেন্ডিং নাই বলে জানান।
Leave a Reply