কলমে– মিনতি গোস্বামী
বর্ষা পড়তেই মারাত্মক ডেঙ্গু হচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে তৎপরতা বেড়ে গেছে। গ্রাম,শহর সব জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীরা বেরিয়ে পড়েছে মানুষকে বোঝাতে ও কোথায় কোথায় মশার আঁতুড় ঘর চিহ্নিত করতে। ঘুরতে ঘুরতে রামনগর গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী রেখা ও অলকা রামনগর আদিবাসী পাড়ায় গেলো।কি সুন্দর ছবির মত সাজানো ঘর। মাটির দেওয়াল, কারও ঘরে টিন, কারও চাল খড়ে ছাওয়া । লাল মাটি গুলে দেওয়াল রং করা। প্রত্যেকের দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা। বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগিয়েছে পরিপাটি করে। গোটা পাড়াটাই ছবির মত। নর্দমা,উঠোন সব ঝকঝকে পরিষ্কার।লেখা আর অলকাকে দেখে পাড়ার মোড়ল মিলন টুডু তাদের ঘরের উঠোনে বসতে দিলো।” বল দিদিমণি, তোদের কি খেতে দুবো? পান্তা ভাত আর মুড়ি ছাড়া মুদের তো কিছু লাই। মুরা তো তুদের মতো চা খাই লা। ” বা, কি সুন্দর পেয়ারা তোমার গাছে।'” লিবি দিদিমণি, দাঁড়া কেনে, পেয়ারাটা পেড়ে দিছি। তুরা খা, আর ঘরকে লিয়ে যা।বলা মাত্রই দেবু টুডু একগাদা পেয়ারা এনে তাদের হাতে দেয়। রেখা আর অলকা ফিরতে ফিরতে বলে,’ কি সরল এদের ব্যবহার । জীবন যাপনও পরিচ্ছন্ন। তথাকথিত শিক্ষিত যাদের বলি, তাদের পাড়াতেই বেশি নোংরা। তাদের পাড়াতেই মশার আঁতুর ঘর।
Leave a Reply