1. info@dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত : দৈনিক আশার দিগন্ত
  2. info@www.dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলমাকান্দায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দের ঘটনায় মামলা ডিলার গ্রেপ্তার বগুড়ায় ছাত্র-আন্দোলনে শহীদ কমর উদ্দিনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিলেন–জামায়াত বগুড়া আদমদীঘির শাঁওল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চাঁপাইনবাবগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নাচোলে দুই হাজার কৃষকের মাঝে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ ও মাসকলায়ের বীজ-সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয় নড়াইলের পল্লীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হাতে স্বামী খুন, স্ত্রী গ্রেফতার পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর বাধ্য হয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করলেন বিএনপি নেতা তোতা হত্যাকান্ড: খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা ধুনটে সড়কের অবৈধ দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের নির্দেশ

নড়াইলের রুপা বাবার সন্ধানে পথে পথে

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

উজ্জ্বল রায়,নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ

নড়াইলের রুপা বাবার সন্ধানে পথে পথে। তখন আমার বয়স চার বছর। বাবা সবজি বিক্রি করতে খুলনায় যান। এরপর আর ফেরেননি। তাঁর কোনো ছবি নেই। চেহারাও পরিষ্কার মনে নাই। বাবার কথা যখন কেউ জিজ্ঞেস করে কলিজা ছিঁড়ে যায়। শ্বশুর বাড়িতে বাবার প্রসঙ্গ উঠলেই কটু কথা শোনায়। অথচ বাবা আমাদের সাথেই ছিলেন। নানা বাড়ি এলাকায় থেকে ব্যবসা করেছেন। কত মানুষ চেনে তাঁকে। সব সময় তার কথা মনে পড়ে। নানা কারণে তাঁর খোঁজ করা হয় নাই। ইদানিং খুব বেশি মনে পড়ছিল। তাই বাবাকে খুঁজতে চাটমোহরে এসেছি। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নড়াইল থেকে আসা রূপা খাতুন (২৫)। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে উপজেলা গেট এলাকায় দেখা যায় তাকে। রুপা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়া এলাকায় নানার বাড়িতে থাকেন। তাঁর বাবার নাম নুর ইসলাম মোল্লা।জানা গেছে, ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর আগে তাঁর বাবা চাটমোহরের নুর ইসলাম মোল্লা কালিয়ার শুক্তগ্রামে যান। সেখানে গফফার আলী নামে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে ছিলেন। পরে ছোট কালিয়া গ্রামের আলতাব মোল্লার মেয়ে রহিমা বেগমকে (রুপার মা) বিয়ে করেন। বিয়ের পর আলতাব মোল্লার বাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন। এলাকায় একটি কাঁচা মালের (সবজী) দোকান দেন। বড় কালিয়া এলাকায় ছয় শতাংশ জমিও কেনেন। নুর ইসলাম মোল্লা এবং রহিমা বেগমের সংসারে রুপা খাতুন এবং নুরজাহান নামে দুই সন্তানের জন্ম হয়। ভালই কাটছিল তাদের দিন। চৌদ্দ থেকে পনেরো বছর বসবাসের পর রুপার তখন চার বছর বয়স। একদিন পাতা কপি বিক্রি করতে খুলনায় যান নুর ইসলাম মোল্লা। এরপর আর ফেরেননি। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও রুপার মা, মামারা তাঁর সন্ধান পাননি।অভিমানে রহিমা বেগমও কখনও স্বামীকে খুঁজতে আসেননি চাটমোহরে। শুধু এটুকু শুনেছেন নুর ইসলাম মোল্লার বাড়ি চাটমোহরের দিয়ার বা দিয়ারা নামের কোনো গ্রামে। রহিমা বেগম তার মেয়ে রুপা ও নুরজাহানকে নিয়ে ভাইয়ের আশ্রয়ে রয়েছেন। দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন।

রুপা বলেন, তার বাবার বয়স এখন ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হবে। পাঁচ ফিট ছয় ইঞ্চি লম্বা। মুখে হালকা চাপ দাড়ি ছিল। বাবার কোন ছবিও নেই তাদের কাছে। বাবা মা–মামাকে তার বাড়ি চাটমোহরে বলেছিলেন। এটা সত্য না মিথ্যা জানা নেই। তিনি বেঁচে আছেন না কি মরে গেছেন তাও জানি না। শুনেছি আমার দাদার নাম আব্দুল মোল্লা। বাবাকে খুঁজে না পেলে কষ্ট পাব। রুপা তার বাবাকে খুঁজে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
𝐂𝐫𝐚𝐟𝐭𝐞𝐝 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐛𝐲: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓