শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জোলার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১৯৯ মেঃটন চাল-গম ও ৩৪ হাজার খালি বস্তা চুরির ঘটনায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা-আল-মামুম সিদ্দিকী পলাশবাড়ীতে যোগদানের পর থেকেই চিহ্নিত কতিপয় ব্যবসায়ীর সাথে যোগসাজোসে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল ও গমের টাকা উত্তোলন করে অত্যান্ত নিম্মমানের চাল ও গম ক্রয় এবং চাল ও গম ক্রয় না করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছিল। এমতাবস্থায় ওই গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা-আল-মামুন সিদ্দিকীর অন্যাত্র বদলীর আদেশ হলে উক্ত খাদ্য গুদাম হতে ১৯৯ মেঃটন চাল ও গম এবং ৩৪ হাজার খালি বস্তা গুদাম থেকে উধাও হওয়ার অভিযোগ ওঠে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক চাল, গম ও খালি বস্তা চুরির সাথে জড়িত আছে বলে এলাকাবাসী জানান। ঘটনার বেগতিক দেখে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি উল্লেখিত চাল-গম ও খালি বস্তা চুরির সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানা যায়।অপরদিকে মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল দিয়েছেন কিন্তু ওই গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল্যা-আল-মামুন সিদ্দিকী চালের টাকা দেয়া হয়নি বলে মিল মালিকরা অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ জুন দুপুরে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও (পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে আহবায়ক, ফুলছড়ি উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আবু মুছা মনিরুজ্জামান ও গাইবান্ধা জেলা খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল আওয়াল-কে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি পলাশবাড়ী উপজেলার ৭ জন মিল মালিকের কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিমত সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল-গম ও খালি বস্তা চুরির সঙ্গে জড়িতের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
Leave a Reply