এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে বগুড়া সদর শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালাকৈগাড়ীতে তুচ্ছ ঘটনার হত্যা মামলার আসামি হত্যাকান্ডের ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার স বিবরণে জানা যায়, বালাকৈগাড়ী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনুছ আলী নামের এক বৃদ্ধকে খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভিক্টিমের ছেলে গোলাম রসুল (২২) বগুড়া থানায় উপস্থিত হয়ে ওহাবকে প্রধান আসামীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর বড় ভাই আবু শাহিন দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভুগতেছে। গত ২০ জুন দুপুর অনুমান ২ টা ৩০ মিনিটের সময় তার ভাই আবু শাহিন বগুড়া সদর থানার বালা কৈগাড়ী গ্রামের ওহাবের বাড়ীর সামনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওহাবের স্ত্রীকে রাস্তা থেকে হাত ধরে সরিয়ে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার (২২ই জুন) বিকাল অনুমান ৩টার দিকে বাদীর বড় ভাই আবু শাহিনকে বালা কৈগাড়ী গ্রামের রুহুল আমিনের দোকানের সামনে একা পেয়ে ওহাব এলোপাথাড়ী চর-থাপ্পড় কিলঘুসি মেরে ছেলা ফুলা ও জখম করে।এরপর শাহীন বাড়ীতে এসে পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরবর্তীতে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে রসুল বাড়ীতে যেয়ে তার পিতার কাছে জানতে পারে আসামি ওহাব, শাহিনকে মারপিট করেছে। রসুল তার ভাইকে মারপিটের বিষয়ে জানতে পেরে উপরোক্ত সময়ে বালা কৈগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কাচা রাস্তার উপর ওহাবকে দেখা পেয়ে তার ভাইকে মারপিটের কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওহাব বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদী ওহাবকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সকল উল্লেখিত আসামীগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী কিলঘুসি মেরে ছেলা ফুলা জখম করে।উক্ত সময় বাদীর পিতা ইউনুছ আলী (৫৫) ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে অন্যান্য আসামীগণ বাদীকে ধরে রাখে এবং ১ / ৩নং আসামীগণ একই উদ্দেশ্যে বাদীর পিতাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করে ঘটনাস্থলের পার্শ্বের থাকা ড্রেনের ভিতরে জোরপূর্বক ঘাড় সহ মাথা চেপে ধরলে ইউনুছ আলী (৫৫) শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হইয়া মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর থানা পুলিশের একাধিক টিম। মামলা দায়েরের পরপরই শুরু হয় সদর থানা পুলিশের অভিযান।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ও বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আকতার পিপিএম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম ও বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ, পিপিএম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহীনুজ্জামানের সার্বিক তত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিছুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার এএসআই সাখাওয়াত হোসেন, এএসআই সোহেল রানা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত এজাহার ২নং আসামী মোঃ মনির মন্ডল (২৫) কে গ্রেফতার করে। সে একই গ্রামের জিল্লার মন্ডলের পুত্র বলে জানা গেছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply