শেরপুর প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা জাতীয় মসজিদের গ্যারেজ ভাড়া ও চাকরির প্রলোভন দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মিজানুর রহমান তাওহীদির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের একজন এ সংক্রান্ত বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের এক মাস পেরোলেও এখন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থার উদ্যোগ পর্যন্ত নেয়া হয়নি। অভিযোগের সূত্রে ধরে জানা গেছে, উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মিজানুর রহমান তাওহীদি মডেল মসজিদের সদস্য সচিব। শেরপুর উপজেলা মডেল মসজিদের গ্যারেজে ৮টি প্রাইভেটকার, ১ সিএনজিসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি মাসিক ভাবে গ্যারেজে থাকে। প্রতিটি প্রাইভেট কার ১ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। সেই গ্যারেজ ভাড়ার টাকা উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মিজানুর রহমানের পকেটে যায়। এছাড়াও মডেল মসজিদে দানের সকল টাকা তিনি নিলেও তার কোন হিসাবের খাতা নেই।শাহ:জামাল রহ: মাজার মসজিদের মুয়াজ্জিম আব্দুল হান্নানকে চাকুর দেওয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেরপুরে বিদেশী সংস্থার একটি মসজিদ পরিদর্শনের জন্য তাকে পাঠান। সেখানে তদন্তের নামে তিনি ইউএনওর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে জেলা কার্যালয়ের অফিস খরচ হিসেবে বিভিন্নভাবে চাঁদা উত্তোলন করেন।
পাশাপাশি পরীক্ষার সময় কেন্দ্র বদলির কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেন। ডিসেম্বর মাসে কুরআন হাতে দেয়ার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে হাদিয়া নেয়ার নাম করে বলেন, তাকে লুঙ্গি, পাঞ্জাবী, জায়নামাজ ইত্যাদি কুরআন ছবকের অনুষ্ঠান থেকে দিতে হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, আব্দুল হান্নানের নিকট হতে টাকা নেওয়ার প্রমান থাকলেও এরকম অনেকের নিকট হতে সে টাকা নিয়েছে। মিজানুর রহমান যোগদানের পর থেকে ভিভিন্ন সেক্টরে অসখ্য দুর্নীতি ধরাসায় করে যাচ্ছে। এতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।অভিযোগ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে আমার কোন কথা বলার এখতিয়ার নেই। তবে আমরা কোন অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে যুক্ত নই। আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছে, আপনি তাদের সাথে কথা বলুন, ঠিক আছে? উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বগুড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গোলাম সরোয়ার সাহেবের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বগুড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে মিজানুর রহমান সম্পর্কে এরকম কোন অভিযোগ কেউ মৌখিকভাবেও দেয়নি।
Leave a Reply