1. info@dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত : দৈনিক আশার দিগন্ত
  2. info@www.dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ঘাঘট লেকের কচুরিপানা অপসারণ নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা আ,লীগ দেশটাকে ফকলা করে দিয়েছে রাণীশংকৈলে বিএনপির মহাসচিব চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে এলকাবাসীর মানববন্ধন চাঁপাইনববাগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ কেজি ৭০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫৯০ গ্রাম হেরোইন এবং ০১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার বগুড়া ধুনটে ছাত্রদলের শুভেচ্ছা মিছিল গাইবান্ধা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধরণ সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় পিকআপ চাপায় প্রাণ গেল রাস্তায় শুয়ে থাকা ঘুমন্ত ব্যক্তির প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন

ছবির পেছনের গল্প

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

কলমে–গোলাম কিবরিয়া খান

অলস দুপুরে সেলিম ভাই ফোন করে বললেন, তোমার পূর্ব খুকশিয়া গ্ৰামে যমুনা নদীর একটা জায়গায় খুব মাছ ধরা পড়ছে, চলো তোইরা জাল (ঝাঁকি জাল) নিয়া যাই, তোমার কিছুই করা লাগবেনা, শুধু মাছের ব্যাগ ধইরা থাইকো। এমন সুবর্ণ সুযোগ হারায় কে! তাছাড়া জম্ম, শৈশব, কৈশোর কাটিয়ে যৌবনের প্রারম্ভে রাক্ষুসী যমুনায় বিলীন হতে দেখা প্রিয় গ্ৰাম আমার। সামান্য চর জেগেছে, তাতেই হাজারো স্মৃতির ভীড়ে হারিয়ে যাওয়ার ব্যাকুলতায়  বললাম চলেন। প্রস্তুতি নিতে বাড়িতে গেলাম। আমি মাছ ধরতে যাবো শুনেই পরিবারের সদস্যদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ মাখা বাক্যগুলো এরকম হয়ে গেলো যে, এই সেরেছে আজ নদীতে মাছ আছে তো! নাকি ছুটিতে গেছে! এর যথার্থ কারণ হচ্ছে আমি জীবনে যতবার মাছ ধরতে গেছি ততবার খালি হাতে….! মাঝে মাঝে পাশের শিকারিরা সহানুভূতি দেখাতো। আমি জানি সেলিম ভাই জীবনে অনেক অনেক মাছ ধরেছেন, দেখা যাক। কূল থেকে প্রায় ২০০ গজের একটা অথাউ নালা সাঁতরিয়ে আমরা

মাছ ধরার জন্য উপযুক্ত স্থানটিতে পৌঁছালাম। শুরু হলো জাল ফেলা, পঞ্চমবার জাল ফেলার পর প্রথম আমরা মাছের দেখা পেলাম, ২ ইঞ্চি সাইজের বাইলা মাছ মনে হয় ভুল পথে এসেছিলো। সেলিম ভাইকে উৎসাহিত করতে গ্ৰামের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে নিজেই এক সময় উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম। ততক্ষনে ১৫/১৬ বার জাল ফেলা হয়েছে কিন্তু ফলাফল শূন্য, এবার সেলিম ভাই উল্টো আমাকে  হতাশ হতে বারণ করলেন। হঠাৎ পাশের গ্ৰামের একটা ছেলে গোসল করতে এসে আমাদের খোঁজ খবর নিলো, ও থাকতে আরো ২ টা মাছ পেলাম আমরা, একটা বাঁশপাতারি আরেকটা ফেসরা মাছ, দুটোই সর্বোচ্চ ৩ ইঞ্চি হবে, আবার বিপুল উৎসাহে জাল ফেলা শুরু, ৩৫‌ থেকে ৪০ বার জাল ফেলার পর ১ইঞ্চি সাইজের একটি চিংড়ি মাছ ছাড়া কিছুই হলোনা। আমাদের মাছের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচে আর ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়েছে চরমে। অবশেষে সেলিম ভাই জীবনের অনেক মাছ শিকারের স্মৃতি থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, জাল ধুয়ে নিয়েছি চলো আর হবেনা। আমি বললাম আর একবার ফেললে একটা ছবি তুলবো, ধৈর্য্য আছে? রাজি হয়ে জাল ফেললেন তিনি, মোবাইলের ক্যামেরায় একটি মাত্র ক্লিক করার সুযোগ পেলাম, রিভিউ দেখে বললাম ভাই ধরছি, তিনি বললেন কি?  দেখেন। দেখে বললেন এতো ক্যালেন্ডারের ছবি! মাঝে মাঝে ভালো ছবি হয়ে যাওয়া হঠাৎ ফটোগ্রাফারের জন্য বিশাল প্রেরণা মনে হলো। মাছ ধরার ব্যর্থতা প্রায় ভুলেই গেলাম, ফেরার পথে শুধু মনে হলো, আমিতো আমার মনের একটা খোরাক পেয়েছি, কিন্তু সেলিম ভাই যার প্রধান সখ মাছ ধরা, কৈশর থেকে মাঝ বয়স পর্যন্ত ৪ যুগে নদী নালা খালে  মাছ ধরতে এসে ব্যর্থ হননি! আজ আবার কেনো সত্যি হলো মাছ আর আমার দুরত্ব যোজন যোজন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
𝐂𝐫𝐚𝐟𝐭𝐞𝐝 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐛𝐲: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓