নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক বলেছেন, ‘২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে, সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য সরকারি-বেসরকারি সব ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ফলে কোনো কর্তৃপক্ষই ছাড় পাবেন না।গত রোববার তথ্য কমিশন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য দিনব্যাপী ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত ৬০ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ‘নোটিশ বোর্ড, বিলবোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। “চাইলে তথ্য জনগণ—দিতে বাধ্য প্রশাসন” এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই।তিনি জানান, সারা দেশে তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২৩ পর্যন্ত দাখিলকৃত আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকেরা। বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্যপ্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কার অবস্থানে চারে।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রাপ্তির আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়, এ বিষয়ে অবহিত করেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। সেই সঙ্গে তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম ইত্যাদি অবহিত করেন তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি। সূত্র আজকের পত্রিকা।
Leave a Reply