কাজী মোস্তফা রুমি,বিশেষ প্রতিনিধি:
নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত (এক-কথায় গরিব) সাধারণ মানুষের জীবনধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় তিনটি জিনিসের দাম এখন আকাশচুম্বী। ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এতটাই চড়া, যা বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ।রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও গোপীবাগ কাঁচা বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।বাজারে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অত্যন্ত চড়া। এই তিন পণ্যের উপর ভর করে টিকে আছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আর সেই পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হালি ৫৫ টাকা। একটি ডিমের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৪ টাকা। এ দাম প্রায় বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকার কম ছিল।এক সময় গরিবের খাবার নামে অধিক পরিচিত ছিল আলু, সবকিছুর দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষ এই আলুর উপর নির্ভর ছিল। কিন্তু এখন আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০-৬৫ টাকা, যা গত ফেব্রুয়ারিতে ছিল ২৫-৩০টাকা।এ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।কারওয়ান বাজারে বাজার করতে এসেছে বেসরকারি চাকুরিজীবী সফিক মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভাই বাজারে পণ্যের দাম ওয়েদারের মতো। ওয়েদার যেমন গরম বাজারে পণ্যের দামও তেমনি গরম। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, রসুন আদার দামতো এখন আকাশচুম্বী তাই আগে যেমন কিনতাম ২কেজি করে আর এখন কিনলাম হাফ কেজি করে।
পুরান ঢাকার শ্যামবাজার নদী পাড়ে বাজার করতে আসা দিনমজুর আসলাম বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । দিন আনি দিন খাই। কিন্তু এখন বাজারের যে অবস্থা কোনটা রেখে কোনটা কিনবো টাকায় পোষাতে পারছি না। দেখেন আলুর কেজি ৬০ টাকা কী খেয়ে বাঁচবো আমরা।গোপীবাগ কাঁচা বাজার থেকে প্রতিদিন বাজার করেন রেলওয়ে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য বায়জিদ।তিনি বলেন, ‘যে হারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পরিবার চলাতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে কিন্তু লোক লজ্জায় তা প্রকাশ করতে পারছি না।’
Leave a Reply