সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভার বিরুলিয়া রোড কিশোর গ্যাং গ্রুপের চাঁদা না দেওয়ায় এক ফেক্সিলোডের দোকানের মালিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে ফেক্সিলোডের দোকানের মালিক মোঃ রাজু আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে না চাইলে লাঠি দিয়ে পেটানোর এক পর্যায়ে আহত করে পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংটি সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিরুলিয়া রোড এলাকার রাজু আহমেদের ফেক্সিলোডের দোকানের এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।এ দিকে সিসি ফুটেজে সন্ত্রাসী ফেক্সিলোডের দোকান হামলা ও দৃশ্য ফুটে উঠেছে। ব্যবসায়ীকে হামলার ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের কাছে এসেছে।জানাযায়,একই এলাকার উজির আলীর ছেলে কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান দলনেতা চাঁদাবাজ জিহাদ ওরফে ইয়াবা জিহাদ কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন ইয়াবা বিক্রিরে সহ ছিনতাই, চুরি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন ফেক্সিলোডের দোকানের মালিক মোঃ রাজু আহমেদের নিকট। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসা মন্দা হওয়ায় তিনি তার চাহিদা মাফিক চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে মোহাম্মদ জিহাদ ওরফে ইয়াবা জিহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।পরে ১০/১৫ জন কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের একত্রিত করে ফেক্সিলোডের দোকানের এসে হামলা চালায় এবং ফেক্সিলোড দোকানের মালিক মোহাম্মদ রাজু আহমেদকে মারতে মারতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় মানুষরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও লাঠি দিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়।তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় উক্ত কিশোর গ্যাং বাহিনী।
হামলার খবর পেয়ে ফেক্সিলোড দোকানের মালিক মোহাম্মদ রাজু আহমেদের আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশপাশের লোকজনের সহয়তায় তাদের উদ্ধার করে দ্রুত নিকটতম সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত মোঃ রাজু আহমেদের এক হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগকারী হলেন, জিহাদ (১৭)ওরফ ইয়াবা জিহাদ, নাবিল(১৮), নয়ন (১৮),রাব্বি (২০), রায়হান(১৬)সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাজামান বলেন,ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষণিক এনাম মেডিকেলে চিকৎসারত ভুক্তভোগী রাজু আহমেদকে দেখতে আসেন সাভার মডেল থানার এস আই মাহমুদুল হাসানসহ পুলিশ ফোর্স। পরে ভুক্তভোগীর নিকট ঘটনার বিবরন শুনে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
Leave a Reply