নুরী,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসটির তাৎপর্য ও পরিবেশ সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারন জনগনকে অবিহিত করার লক্ষ্যে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ কর্তৃক পালিত হয় এক মহৎ কর্মসূচী।অতঃপর নানারূপ সচেতনতামূলক উক্তি সম্বলিত ব্যানার হাতে শিক্ষার্থীরা নেমে পড়েন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সায়মন পয়েন্টে। এসময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা স্বহস্তে সমুদ্র সৈকতের অপচনশীল আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সচেতন নাগরিকদের পরিবেশকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে আরো বেশি উদ্ভুদ্ধ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নাজিয়া আকতারের পরিচালনায় সকাল ১০ ঘটিকায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে উক্ত কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর কাজী মুসতাইন বিল্লাহ।পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচী শুরু হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সায়মন পয়েন্ট থেকে এবং শেষ হয় সুগন্ধা পয়েন্টে।উক্ত কর্মসূচীর শুরুতে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অনুপ্রেরণা মূলক বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খান হাবিবা মুসতারিন।অতঃপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের সিআর. আব্দুল্লাহ আল হক চৌধুরী (আদন)। তিনি বলেন – “ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সময়ে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার ফলে মাত্রাতিরিক্ত তাপদাহে এদেশের জনজীবন যখন প্রায় বিপর্যস্ত ঠিক তখনই দেশের মানুষকে সচেতন করার মধ্য দিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এমন কর্মসূচী নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।এভাবে যে যার স্থান থেকে নিজে সচেতন হলে এবং অন্যকে সচেতন হতে উদ্ভুদ্ধ করলে বাঁচবে পরিবেশ, বাঁচবে জাতি, বাঁচবে দেশ”কর্মসূচীর শেষ পর্যায়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক নাজিয়া আকতার। এসময় তিনি বলেন – “যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে এদেশের পরিবেশে অনেক অস্বাভাবিক ও নজিরবিহীন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে,তাই পরিবেশ সংরক্ষনের বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি। এই পরিবর্তনগুলি প্রকৃতির প্রধান উপাদান যেমন মাটি, পানি এবং সমগ্র বায়ুমণ্ডলের উপর ভীষন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এতটাই তীব্র যে বর্তমানে এদেশের বায়ুমণ্ডল এবং সমগ্র জীবজগতের অস্তিত্বই সংকটের মুখে। তাই দেশের পরিবেশকে স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কাজ করে চলেছি।”উক্ত কর্মসূচীকে সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক তাসমিন আক্তার। পরিশেষে এক সফল কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে বেলা ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে উক্ত কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষনা করেন প্রভাষক নাজিয়া আকতার।
Leave a Reply