শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ (সার্বক্ষণিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা দায়সারা ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মশালায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনার রংপুর বিভাগীয় পরিচালক, গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ভারপ্রাপ্তসহ অন্যান্যরা।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ ইউনিট এর আয়োজনে ৩ জুন সোমবার বেলা ১১টা হতে দেড়টা পর্যন্ত পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে দায়সারাভাবে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা স্টাফদের মধ্যে ৮২ জনের মধ্যে ৭১ জন ও স্থানীয় ও জেলার অতিথিদের নিয়ে মোট একশত জন এ কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেছে বলে জানানো হলেও এর এ কর্মশালার মোট বরাদ্দ কত তা জানাতে পারেনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদা বেগম। তিনি এর বেশী আর কোন কথা জানাতে পারবেন না বলে জানান৷ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আনিছুর রহমান জানান, এ কর্মশালার অতিথি হিসাবে তিনি ছিলেন। তবে কর্মশালায় কাদের নিয়ে করা হচ্ছে বা কারা অংশ নিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি কোন তথ্য জানাতে পারেননি।এ কর্মশালা উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কিনা জানতে চাইলে গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্র জানান, এ কর্মশালার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কিনা সেটা আসলে আমরা বলতে পারবো না। তবে উপস্থিত অতিথি স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ অংশ গ্রহনকারীরা বলতে পারবেন।কর্মশালা সকাল সাড়ে দশটা হতে শুরু হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক দুদু বলেন, কর্মশালা সকাল ১০টা হতে শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, সর্বস্তরের লোক উপস্থিত ছিল এ কারনের কর্মশালার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছোট একটি হলরুমে গাদাগাদি করে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কর্মশালার উদ্দেশ্য বোঝার চেয়ে অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়ে অংশগ্রহনকারী ও উপস্থিত অতিথিগণ৷
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রের লক্ষাধিকের বেশি টাকা ব্যয় করে লোক দেখানো এ কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। তারা বলেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র গুলোতে অফিস সময়ে কোন স্বাস্থ্য কর্মী ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। সেখানে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানের বিষয়টি শুধু খাতা কলমের মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকে। একারণে কর্মশালায় কর্মকর্তাদের মনোনীত ব্যক্তিগণ শুধু অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত হন। এ কারণে দায়সারাভাবে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply