এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোট চুরি, ভোটার উপস্থিতি কম ও ঢিলেঢালা ভাবে অনুষ্ঠিত হলো ৩য় ধাপের নির্বাচন।সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এক টানা ভোট গ্রহণ করেন নির্বাচন স্ব স্ব কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা। ভোট গণনা শেষে চলছে ভোট গণনা। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি প্রধান হওয়ায় এবং ধান কাটামারির কাজে ব্যস্ত থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।সকাল ৮টায় উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের বুলুরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ রিজু তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এসময় তিনি বলেন, বিগত ৫ বছরে শিবগঞ্জ উপজেলায় যে উন্নয়ন তিনি করেছে সেই দিকটি খেয়াল করে সাধারণ ভোটাররা তাকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি উপজেলার বিহার ইউনিয়নের মোলামগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, আমি সরকার দলীয় লোক, তার সরকার দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম করছেন। সেদিকটি খেয়াল করে তাকেই আনারস প্রতীকে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদি।এ ছাড়াও শিবগঞ্জ উপজেলায় ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।তারা হলেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহেল শাফি তালুকদার টিউবওয়েল প্রতীক, আরিফ প্রাং চশমা প্রতীক, শাহনেওয়াজ বিপুল তালা প্রতীক, গনেশ প্রসাদ কানু টিয়াপাখি প্রতীক ও আব্দুল বাকী মাইক প্রতীক।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জান্নাতী আক্তার টুম্পা কলস প্রতীক, তানজিলা আক্তার পপি প্রজাপতি, ববিতা ফেরদৌসি পেয়েছেন ফুটবল প্রতীক, রুলি বিবি হাঁস প্রতীক, শাহানা খাতুন পদ্মফুল প্রতীক ও ফাহিমা আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক।
তবে শব্দলদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাহিরে মটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থীরা হঠাৎ ৭/৮টি ককটেল বিষ্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টি করে। এ সময় ভোটাররা দিক বিদিক ছুটাছুটি করে। মুহুর্তের মধ্যে ভোট কেন্দ্রটি ভোটার শুন্য হয়ে যায়। ভোটার শুন্য হওয়ায় সেখানের পোলিং ও এজেন্ট ভোটচুরির সুযোগ পান। গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে টের পেয়ে তা বন্ধ হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, শব্দলদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুট চুরির ঘটনায় কলস প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মাজেদা বেগম কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয় এবং সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেফালী বেগম এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গণণা চলছে। তবে একে হবেন এ উপজেলার চেয়ারম্যান দেখতে অপেক্ষায় থাকতে হবে।
Leave a Reply