শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
পলাশবাড়ীতে সড়কে কার্পেটিংয়ে ব্যাপক অনিয়ম, চার-পাঁচ দিনেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। সরেজমিনে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভা ও মহদীপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ১ হাজার ৫’শ মিটার রাস্তা কার্পেটিং করার ৪ দিন পরই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদার। শুরুর চার থেকে পাঁচ দিন পরই হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ ঢালাইয়ে কার্পেটিং। তাছাড়া কার্পেটিং করার আগে সড়কটি পরিষ্কার না করে ধুলো ময়লার উপরে শুরু করেছে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। ধুলা মিশ্রিত পাথর, নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় রাস্তার এমন বেহাল দশা। তাছাড়াও এলজিইডির কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পলাশবাড়ী পৌর শহরের ড্রিমল্যান্ডের পূর্বপার্শ্বে ৫’শ মিটার দুর থেকে দূর্গাপুর পর্যন্ত ২ হাজার মিটার সড়ক নির্মাণ কাজের ১ কোটি ২১ লাখ ৮ হাজার ৬৭৭ টাকা ব্যয়ের কাজটি বাস্তবায়ন করছেন মেসার্স মনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুকুল। সরেজমিন দেখা যায়, পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) কাজ চলমান। কিন্তু দূর্গাপুর নতুন বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে সড়কে স্থানীয়রা হাত দিয়ে পিচ ঢালাই তুলে ফেলছেন। কার্পেটিং পিচ উঠতে দেখে সাংবাদিকদের ফোনে ছুটে আসেন সড়কে পরিদর্শনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা । স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভু বলেন, নিম্নমানের বিটুমিন ও সড়ক পরিষ্কার না করেই পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার ফলে রাস্তার পিচ হাত দিলে উঠে যাচ্ছে। এভাবে হলে সরকারে টাকা শুধু অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। একই গ্রামের শহিদ আফ্রিদি বলেন, রাস্তার পিচ ঢালাই কাজ চলমান রয়েছে। চার-পাঁচ দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে। মেসার্স মনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুকুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি রাস্তা থেকে ঘুরে আসলাম যদি কোথাও কোন সমস্যাই হয় এক বার না হয় চার বার ঠিক করে দেব। সড়ক সংস্কারের কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জানান, কোথাও একটু অনিয়ম হলে তা ঠিক করে নেওয়া হবে। সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, আমি লোক পাঠিয়ে দিয়েছি ঘটনা সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এলাকাবাসীর দাবি এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির কাজ সঠিক ভাবে বুঝে নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্বধন কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।#
Leave a Reply