ইমাদুল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য জেলি পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষণীয় করছে।র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প ইং ২২/০৫/২৪ তারিখ বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বিপুল পরিমাণ চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে অপদ্রব্য জেলি পুশ করে মাছের ওজন বৃদ্ধি করত: অস্বাস্থ্যকর ভাবে বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান জেলি পুশ চিংড়ি নিয়ে ০১ টি মিনি ট্রাক খুলনা হতে পাবনা জেলার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইং ২২/০৫/২০২৪ তারিখ সময় আনুমানিক ১৭.৪০ ঘটিকা হতে ১৯.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোঃ হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ এর সমন্বয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বকচর মোড়ে অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি ট্রাকটি থামিয়ে ট্রাকের মধ্যে রাখা ক্যারেট ভর্তি চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে অপদ্রব্য জেলি পুশ করেছে কিনা তা চেক করেন।
এ সময় উক্ত (রেজি নং ঢাকা মেট্ট ণ- ১৯-৬০৭৮) ট্রাক টিতে ১৮ টি ক্যারেট ভর্তি আনুমানিক ৩৬০ কেজি চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য জেলি পুশ করার প্রমাণ পাওয়ায় মৎস্য ও মৎস্য পণ্য এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে উদ্ধারকৃত ক্যারেট ভর্তি জেলি পুশ চিংড়ি জব্দ করা হয় এবং উক্ত মা ফিস এর মালিক প্রশান্ত মন্ডল,সাং- শামুকপোতা, থানা- পাইকগাছা,জেলা- খুলনা’কে ১৮,০০০/- (আঠার হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে অপদ্রব্য জেলি পুশ চিংড়ি বাজারজাত ও পরিবহনে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।জরিমানাকৃত টাকা বিধি মোতাবেক সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত অপদ্রব্য জেলি পুশ চিংড়ি উপস্থিত জনগণ, মৎস্য কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণের সম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে।
Leave a Reply