স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বহুল আলোচিত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নেতা এবং কোটিপতি নকশাকার শফিউল্লাহ বাবু চাকরি বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরর সুপারিশ করা হয়েছে। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার এবং টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, এর আগে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় রাজউক।জানা যায়, শফিউল্লাহ বাবু সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা গ্ৰামে জম্ম গ্ৰহণ করেন, অসচ্ছল পরিবারের সন্তান হিসেবে সিরাজগঞ্জ শিশু সদনে কৈশর বেলা কাটান। পরবর্তীতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কার্যালয়ে চাকুরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখার নক্সাকার হিসেবে নিয়োজিত এবং রাজউক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব:) সাক্ষরিত গত ১৩/৫/২০২৪ তারিখের অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, রাজউকের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন শাখার নক্সাকার শফিউল্লাহ বাবুর বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর হয়ে ভোটের মাঠে প্রভাব বিস্তার এবং নিজ গাড়ি ব্যবহার করে গ্ৰামে গ্ৰামে ভোটারদের কাছে টাকা পৌঁছানোর অভিযোগ উঠে। গত ৬/৫/২০২৪ ইং তারিখের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭/৫/২০২৪ ইং তারিখে বাবুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় রাজউক। উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ১৩/৫/২০২৪ ইং তারিখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়। উল্লেখ করা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকুরী বিধিমালা ২০১৩, এর বিধি ৪৩ এর উপবিধি (১) মোতাবেক দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং অসদাচরণের অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, বাবু বর্তমানে রাজউক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক। অবৈধ পথে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। তবে ৬ বছর ধরে চলা অনুসন্ধান এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বাবুর বিরুদ্ধে ভুয়া প্ল্যান বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ১০/২০ তলা ভবনের নকশা ভুয়া কাগজে পাশ করে দেন সল্টু। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তিনি কয়েক দফা বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রভাবশালী মহলের তদবিরে রাজউকে বহাল তবিয়তে টিকে আছেন।
Leave a Reply