মুজিবুর রহমান,কালীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বার ভ‚ইয়ার আগমনে ৩শ বছর পূর্বে ঐতিহাসিক ১৩ গম্ভূজ শাহ্দেরগাঁ জামে মসজি স্থাপিত হয়। গাজীপুরের কালীগজের ভাদগাতী গ্রামে বার ভ‚ইয়ার অন্যতম ভ‚ইয়া পালোয়ান গাজী থেকে ফজলগাজী পর্যন্ত এখানে রাজ্যকার্য পরিচালিত হয়।গাজীপুরের কালীগঞ্জে হযরত শাহ্ জালাল (রা:) ভারত বর্ষে ৩৬০ আওলিয়া নিয়ে ধর্ম প্রচারে আসেন। ৩৬০ জন আওলিয়ার অন্যতম আউলিয়া হযরত সৈয়ত শাহ্ বাইজিত (রা:) ঐহিত্যবাহী কালীগজের ভাদগাতী গ্রামে ধর্ম প্রচার কার্য পরিচালনা করেন। সেই সময় থেকে হযরত শাহ্ বাইজিত (রা:) নাম অনুসরে ভাদগাতী খঞ্জনা চৌড়া নিয়ে অত্র এলাকা শাহদের নামে প্রশিদ্ধ ছিল। পরবর্তি সময়ে বার ভ‚ইয়ার অন্যতম ভ‚ইয়া পালোয়ান গাজী থেকে ফজলগাজী পর্যন্ত এখানে রাজ্যকার্য পরিচালিত হয়। অত্র এলাকায় যার নির্দেশণ এখনো রয়েগেছে। তার মধ্যে অন্যতম রাজবাড়ীর চারদিকে খন্দক(সরু খাল) র্নিমিত আছে। পুরান বাড়ি এখনো ভাগাতী মিয়া বাড়ি হিসেবে পরিচিত রয়েছে। রাজার রার্জ্য কর্মকান্ড ও খাজনা আদায়ের জন্য এখনো একটি স্থানকে গাজী বাড়ি হিসেবে পরিচিত হতো। রাজার অস্ত্রাগার হিসেবে স্থানটি খঞ্জনা নামে পরিচিত আর সেই থেকে ওই গ্রামটি খঞ্জনা গ্রামের নামকরণ করা হয়ে। শাহ বাইজিত(রা:) ধর্ম প্রচারের সময় থেকে যে স্থানে নামাজ আদায় করতেন, এখানে একটি মসজিদ র্নিমান করা হয় সেই স্থানটি এখন ভাদগাতী বাইতুল মামুন জামে মসজিদ হিসেবে বিদ্যমান।বার ভুইয়াদের আমল থেকে বিশাল একটি এলাকা নিয়ে মুসুল্লিগন এই মসজিদে নামাজ আদায় করে থাকেন। এলাকায় প্রবীণ মুরুব্বীরা বলেন, বার ভ‚ইয়ার অন্যতম ভ‚ইয়া ফজলগাজী বর্তমান বিদ্যমান মসজিদটি নতুন করে র্নিমান করেন। বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সদস্য জানান যে, স্থাপনাটি পুরাতন কৃত্তি হিসেবে ঘোষনা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্ত¡ মন্ত্রনালয়কে উদার্ত আহব্বান জানান।১৩ গম্ভূজ বিশিষ্ঠ এই মসজিদটি যার উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। আয়তনের দিক থেকে প্রায় ৭ হাজার স্কয়ার ফুট। মুসুল্লির সংক্ষা ৩ হাজার । এই সমাজের অধিনে প্রায় ৬ হাজারের অধিক এলাকাবাসী রয়েছে। যা পরিচালনা হয় সম্পূর্ণ এলাকাবাসীর অর্থায়নে।
এক সময় আশ পাশ ২/১ মাইল দুর থেকে মুসুল্লীগন এসে নামাজ আদাই করতেন ১৩ গম্ভুজের মসজিদে। মসজিদটি পাতল ইট, সুরকি ও চুন দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এটাকে ভিতরের অংশ টাইলস দিয়ে আবৃত করা হয়েছে।
Leave a Reply