কাজী মোস্তফা রুমি,বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ থেকে পড়া বেল কুড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাজিব আলম রাজিব (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন।বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পংভাদ্রা গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।নিহত রাজিব ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে। সে ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে,বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন।স্থানীয় ও পরিবারের বরাত দিয়ে নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলীম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমের সাথে মো. আজহারের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সীমানায় একটি বেল গাছের বেল মাটিতে পড়লে আজাহরের বাড়ির লোকজন বেলটি নিয়ে যায়। এ নিয়ে আজাহার ও মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিব আলম রাজিব ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ৭জন। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। এরা হচ্ছে, মৃত কলিমুদ্দিন ছেলে মো. আজাহার ও পলাশ, পলাশের ছেলে রুবেল, আজাহারের ছেলে শান্ত, রুবেলের মেয়ে বৃষ্টি ও আজাহারের স্ত্রী শিল্পী বেগম। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ছুড়ি উদ্ধারসহ ৬ জন কে আটক করা হয়েছে। আটকদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই চলছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply