মিঠু মিয়া,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের স্কুলের বাজারে টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘবদ্ধভাবে বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মশিউর রহমান নামে এক যুবককে ছুড়িকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ফাতেমা বেগম নামের এক গৃহবধুর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।এজাহার সুত্রে জানা যায়, যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আসামীরা দীর্ঘ দিন থেকে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। গত কয়েকদিন পূর্বে আসামী শরীফ মিয়ার নিকট হইতে ৫০০ (পাঁচশত টাকা) ধার নেন মশিউর রহমান কিন্তু সমস্যার কারণে টাকা ফেরত দিতে দেরি হওয়ায় মশিউরের বড় ভাই মাহমুদ কলি মিয়ার নিকট থেকে আসামী ২৯ এপ্রিল দুপুর ১ টার সময় শরীফ মিয়া ৩,৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত টাকা) ধার নেন উক্ত টাকা ধার নেয়াকে কেন্দ্র করে আসামী শরীফ মিয়ার সঙ্গে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হওয়া বিকেল ৪:৩০মিনিটে কুপতলা স্কুলের বাজারে আসামী শরীফ মশিউর রহমান নিকট পাওনা ৫০০ (পাঁচশত টাকা) ফেরত চায় কিন্তু, সমস্যার কথা জানিয়ে কয়েকদিনের জন্য সময় চাওয়ায় সময় দিবে না বলে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে দেয়।একপর্যায়ে মশিউর রহমান কে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন মশিউর কে উদ্ধার করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। পরে আসমী শরীর মিয়া আবারও লোকজন নিয়ে লাঠি ছোঁড়া নিয়ে মশিউর রহমানের বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ি ঘর দুয়ারে ভাংচুর শুরু করলে মশিউর রহমান সহ বড় ভাই মাহমুদ মিয়া ও তার স্ত্রী বাঁধা দিতে এলে আসামীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে এরই এক পর্যায়ে আসামী আরিফ মিয়া ধারালো ছোড়া দ্বারা মশিউর রহমানের কমড়ে আঘাত করে হারকাটা রক্তাক্ত জখম করে। ভাইকে বাঁচাইতে উদ্ধারের জন্য মাহমুদ কলি ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম এগিয়ে গেলে আসামীরা তাদেরকেও মারপিট করতে শুরু করে এরই একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামীরা প্রাণনাশের হুমকি দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে জান।পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।এ বিষয়ে দোষীদের দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন এলাকাবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান তাদের নামে একাধিক মামলা বিচারাধীন।হামলাকারীরা মাদক ও দাদন ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। বিষয়টি প্রশাসন ও জানে, তারপরও টাকার প্রভাবে সব ঢাকা পরে যায়। তাদের ভয়ে এলাকাতে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। কেউ মুখ খুললে পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে নির্যাতন করা হয়। এ কারণে সবাই দেখেও না দেখার ভান করে।গুরতর আহত মশিউর রহমান কথা বলতে পারছিলেননা। তার পরও কান্নাজড়িত কন্ঠে সে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে আইগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।আহত মাহমুদ কলি জানান, আসামীরা আবারো যেকোনো সময় হামলা করার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়াসহ বারবার হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি গতকাল সোমবার গুরুতর আহত মশিউরকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও তাদের উপর হামলা করে মারধর করা হয়।আমরা প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই।মশিউর এর মা মর্জিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থকে (আসামীর পরিবার) আমাকে অসংখ্যবার ওরা মারধর করেছে। এবার আমারছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া মেরেছে। আমরা এর বিচার চাই।
Leave a Reply