শেরপুর সংবাদদাতাঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে সেচ পাস্পস্থাপনের অভিযোগে সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সেচ কমিটির ৫ কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দুলী গ্রামের মৃত আঃ সালামের ছেলে ফর্সা মিয়া। বিবাদীরা হলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শেরপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার, ঝিনাইগাতী উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার, সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) বিএডিসি শেরপুর জোন ও সদস্য সচিব উপজেলা সেচ কমিটি, পিইউসি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঝিনাইগাতীসহ ৭ জনের নামে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। জানা গেছে, কৃষক ফর্সা মিয়া ২০০০ সালে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে তার জমিতে একটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করেন। উক্ত সেচপাম্পের মাধ্যমে কৃষক ফর্সা মিয়া তার নিজস্ব জমি চাষাবাদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের জমিও চাষাবাদ করে আসছিল। চলতি বোরো মৌসুমে কৃষক ফর্সা মিয়ার ভাতিজা একই গ্রামের প্রভাবশালী খলিলুর রহমান প্রভাবখাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফর্সা মিয়ার নলকূপের ১০ ফুটের মধ্যে একটি নলকূপ স্থাপন করেন। উপজেলা সেচ কমিটি তার নলকূপটি স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র প্রদান করেন। জানা গেছে সেচ নীতিমালা অনুযায়ী এক নলকূপ থেকে অপর নলকূপের দুরত্ব প্রয়োজন হয় ২০০০ ফুট। কিন্তু উপজেলা সেচ কমিটি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে খলিলুর রহমানের সেচপাম্প স্থাপনের ছাড়পত্র প্রদান করেন। খলিলুর রহমান অবৈধভাবে স্থাপিত সেচপাম্পের যেন কোন কার্যক্রম চালাতে না পারেন এ বিষয়ে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবিতে শেরপুরের সহকারী জজ আদালতে এ মোকদ্দমাটি দায়ের করেন কৃষক ফর্সা মিয়া। উক্ত মামলার আলোকে আদালত খলিলুর রহমানের সেচ পাম্প স্থাপনের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত রেখে সকল বিবাদের আদালতে জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেচ কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রকৌশলী ওয়াসীম আক্রাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় সেচ কমিটির বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিষয়টি আদালতের ও আমাদের মধ্যের বিষয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জবাব দেওয়া হবে।
Leave a Reply