দেলোয়ার,সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বেশ কয়েক দিন ধরে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপদাহ। তীব্র গরমে ও তাপদাহের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মানুষ। সেই তাপদহের প্রভাব পড়েছে বাজার ও মার্কেটগুলোতে। প্রচন্ড গরমের কারণে সকালের বাজারগুলোতে মেলছেনা ক্রেতা বিক্রেতাও। তাপদাহের কারণে কয়েকদিন ধরে বাজারে ক্রেতা কম হওয়ার কারণে বাজারে দোকানীরা আছে ঠিকমতে।জানাগেছে, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এবার বাংলাদেশে যে পরিমান গরম পড়েছে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার। তাপদাহের কারণে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে কাউকে বাহিরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার স্থানীয় বাজার ও মার্কেটগুলোতে। বাজার ও মার্কেটগুলোতে আগের তুলনায় ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম কমেছে। আগে সকাল বেলা ও দিনব্যাপী বাজারগুলোতে যে পরিমান লোক সমাগম হতো সে তুলনায় গত কয়েকদিন ধরে বাজারগুলোতে সমাগম কমেছে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের। অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে না আসার কারণে বাজারগুলোতে বেচাকেনার প্রভাব পড়েছে।সরেজমিনে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, উদ্ধবগঞ্জ, সোনারগাঁও পৌসভার আদমপুর বাজার, মেঘনা শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে বাজারগুলোতে যে পরিমান ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম হতো এখন গরমের কারণে সে পরিমান ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম হচ্ছে না। আগে কাঁচপুর বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তরিতরকারি, শাক সবজি ও ফলমুলসহ বিভিন্ন ছোট বড় ৬ শতাধিক দোকানী দোকানদারী করতো। কিন্তু গত কয়েকদিন তাপদাহের কারণে সকালে যেমন ক্রেতা বিক্রেতা মিলছেনা তেমন বিকেল বেলাও একই অবস্থা। তবে রাতে বেলা কিছুটা তাপ কমার বাজারগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম কিছুটা বাড়ে। একই অবস্থা উপজেলার আরেক জনবহুল বাজার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা। এ বাজারেও বিভিন্ন ধরনের দোকান মিলে প্রায় ৫ শতাধিক। এ বাজারেও একই অবস্থা প্রচন্ড তাপের কারনে বাজারে নেই আগের মতো ক্রেতার সমাগম ফলে বেশীর ভাগ দোকানীরা গরমে অলস সময় কাটাচ্ছেন। সোনারগাঁও পৌরসভার আদমপুর বাজারে ভোর থেকে প্রায় শতাধিক সবজি বিক্রেতা তাদের চাষের টাটকা সবজি নিয়ে বাজারে বসেন আর সেই বাজারের ক্রেতা হলেন সকালে ব্যায়াম করতে যাওয়া লোকজন ও পৌরসভার বাসিন্দা। গত ৩দিন ধরে সেই বাজারে ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় বিক্রেতার সংখ্যাও কমে এসেছে। আগে সে বাজারে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মুল বাজার থেকে শুরু হয়ে রাস্তার দুই ধারেও কৃষকরা তাদের ক্ষেত্রের সবজি নিয়ে বসতো গত ৩দিন ধরে সেই কৃষকদের দেখা মিলছেনা বাজারে। একই চিত্র উপজেলা সংলগ্ন উদ্ধবগঞ্জ বাজারেও। সেখানেও প্রতিদিনে দোকানদার ছাড়া দেখা মিলছে অন্য দোকানীদের।বাজার করতে আসা ব্যবসায়ী রমজান হোসেন জানান, তিনি প্রতিদিন সকাল বেলা পানাম নগরীতে হাটতে আসেন। হাটা ও ব্যায়াম শেষ করে মাছ তরিতরকারী ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করে বাড়িতে যান কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে তিনি হাটা ও ব্যায়াম করতে আসেন না। আজ বাড়িতে বাজার নেই সেজন্য গাড়িতে করে বাজার করতে এসেছেন।আদমপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা মাজারুল জানান, গত কয়েকদিনের গরমের কারনে বাজারে ক্রেতার সমাগম কমে গেছে। তরিতরকারী নিয়ে বসলেও সেগুলো না বেচতে পারার কারনে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে বাজারে বিক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। যারা প্রতিদিন ভিটিতে বসে ব্যবসা করেন তারাই শুরু দোকান নিয়ে বসেন তাও আগের তুলনায় অল্প অল্প করে মালামাল তুলেন।কাচপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, কাঁচপুর শিল্প নগরী হওয়ায় এই বাজারে কয়েক হাজার শ্রমিক বাজার সদাই করতেন। গত কয়েকদিন ধরে গরমের কারণে বাজারে লোকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যেখানে তিনি প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা সবজি বিক্রি করতেন সেখানে এখন ২০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারেন।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তার আয়ুব প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী জাকির জানান, গরমের কারণে মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না তাই গত কয়েকদিন ধরে দোকানে বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ।সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আহসানুল্লাহ সুপার মার্কেট রড ব্যবসায়ী টিন ব্যবসায়ী মোঃ আদিল হোসেন জানান আমরা গরমে অসুস্থ।
Leave a Reply