কলমে-অজয় ভট্টাচার্য
কি বলে ডাকবো তোমায় —
কবি না ঠাকুর?
তুমি তো আমার কাছে ঠাকুর ছাড়া অন্য কিছু নও।
আমার প্রত্যুষ, দ্বিপ্রহর, সায়াহ্ন,জীবন,মরণ
সবই তো তোমাকে অর্পণ করেছি,
ঠাকুর।
সবাই তোমাকে বিশ্বকবি বলে, তোমার জন্মদিন পালন করে।
কিন্তু, আমার কাছে তো তোমার কোনো নির্দিষ্ট জন্মদিন নেই।
তুমি আমার নিত্য পূজার ঠাকুর।
তুমি স্বয়ম্ভু হয়েও সাকার।
আমার ভালো-মন্দ,সব তোমারই আশীর্বাদ ।
কৃষ্ঞের অষ্টোত্তর শতনামের মতো , তোমারও তো কত নাম!
পূবালী,বলাকা, গীতাঞ্জলি,সোনার তরী,শ্যামলী,সেঁজুতি, নৈবেদ্য, ক্ষণিকা আরো কত কি!
সাঁওতালি পল্লী বালা সে তো তোমার আশীর্বাদেই সম্পূর্ণা।
সোনাঝুরির মাটির ঘরে আঁকা রঙিন চিত্রগুলো,সে তো তোমার মতই সুন্দর।
শান্ত সুনিবিড় ইউক্যালিপ্টাস বহমান কোপাই এর তীরে আজও তোমার আশীর্বাদে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
জোড়াসাঁকো,শিলাইদহ, পতিসর,শান্তিনিকেতন তোমারই মন্দির।
সারা পৃথিবীর মানুষ তোমার এই মন্দিরে আসে তোমার সৃষ্টির পরশ পাওয়ার জন্য।
তাই তো তুমি না থেকে আজও বিশ্বজনীন।
Leave a Reply