শাহারুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় জাকারিয়া হোসেন সম্রাট (১৭) নামের এক নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ এপ্রিল শনিবার সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাত ১টার দিকে উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের মিলন হাজারীর বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত জাকারিয়া হোসেন সম্রাট শ্যামপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। সাদুল্লাপুরে কৃষকের স্বপ্নের ফসল নষ্ট করল প্রতিপক্ষ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে রিফাত হোসেনের সঙ্গে জাকারিয়া হোসেন সম্রাট একই বিদ্যালয়ে পড়াার সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে দু’জনেই অনলাইন জুয়া খেলতো। এই খেলার একপর্যায়ে জাকারিয়া হোসেন সম্রাট অনলাইনে জুয়া খেলে টাকা হারলে রিফাতের কাছে তার শখের ক্যামেরা বন্ধক রাখে। কিছুদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে রিফাত বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা অন্য আরেক জনের কাছে বিক্রি করে। এদিকে সম্রাট মিয়ার টাকা জোগার হলে বন্ধক রাখা ক্যামেরা ফেরত নেওয়ার জন্য রিফাতের বাড়িতে আসে। রিফাত ক্যামেরাটি অন্য জনের কাছে বিক্রি করায় সে ক্যামেরা ফেরত দিতে পারে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে সম্রাটকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে রিফাত। আর সেই দিন থেকেই নিখোঁজ হয় সম্রাট। এ নিয়ে থানায় সাধারণ জিডি করে সম্রাটের মা-বাবা। এরই ভিত্তিতে শুক্রবার রিফাতকে থানায় নিয়ে আসে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে ওই রাতে রিফাতকে হত্যা করে এবং বাড়ি পাশে টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভেতর সম্রাটের লাশ গুম করে। পরে পুলিশ রিফাতকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থালে যায়।
এরপর রিফাতের বাড়ির পাশে সেফটি ট্যাংক থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজুল হক জানান, শুক্রবার রাতে সম্রাটের মরদেহ সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সম্রাটের মা মিনি বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় হত্যাকারী রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।#
Leave a Reply