শেরপুর সংবাদদাতাঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অভিযোগকারীর সাথে সমঝোতা করে দুর্নীতির দায়মুক্ত হলেন মকরুল ইসলাম আকন্দ নামে এক বন কর্মকর্তা।মকরুল ইসলাম আকন্দ ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা। জানা গেছে, তিনি ২০১৮ সালে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের তাওয়াকোচা বিট কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পরপরই এখানে গড়ে তুলেন একটি বিশাল বাহিনী। এ বাহিনীর দ্বায়িত্ব পালন করেন বাঁকাকুড়া গ্রামের মুসা সরদার, সাইফুল ইসলাম, বাবু, শরিফসহ অর্ধশতাধিক সদস্য। এ বাহিনীর সদস্যরা তখন থেকেই গারো পাহাড়ে শুরু করে লুটপাটের রাজত্ব। অভিযোগ রয়েছে, এ বাহিনীর সদস্যরা পাহাড় কেটে পাথর ও কালঘোষা নদী থেকে বালু লুটপাট , সামাজিক বনের বৃক্ষ নিধন। অংশিদারদের বনের গাছ হরিলুট করে এ বাহিনীর সদস্যরা জিরো থেকে হিরো বনে গেছে গত কয়েক বছরে । মকরুল ইসলাম আকন্দ শতাধিক একর বনের জমিও বিক্রি করে দেন। শুধু তাই নয়। জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে গরো পাহাড়ে শুরু হয় সুফল বাগান সৃজনের কাজ। শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রায় ১০০০ হেক্টর বনের জমিতে সৃজন করা হয় দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার লক্ষে এ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় সরকার। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা বন বিভাগের বাস্তবায়নে এ প্রকল্পের কাজ সম্পুর্ণ করা হয় । প্রতিহেক্টর জমিতে ২হাজার ৫ শ করে চারা রোপনের কথা কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। চারা রোপন না করেই প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বৃক্ষ সংরক্ষণ করে এখানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে বাগান সৃজন। মূলত সেখানে কোন বাগান নেই। এভাবে অধিকাংশ জমিতেই বাগান সৃজন না করেই সরকারি অর্থ হরিলুট করা হয়েছে। এসব হরিলুটের বিষয়ে মানবকন্ঠের ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক সম্প্রতি মকরুল ইসলাম আকন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন উক্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য বন বিভাগকে দায়িত্ব দেন। ঢাকা বন অধিদপ্তর ঘটনাটি তদন্তের জন্য দ্বায়িত্ব দেন ঢাকা কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের উপ-বন সংরক্ষণ মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি গত ১৭ এপ্রিল বুধবার ঘটনা তদন্তের জন্য ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে আসেন।
তিনি সঠিকভাবে তদন্ত না করে বন কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের পক্ষ অবলম্বন করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকগন তদন্তে সহায়তা করতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগকারী ছাড়া অন্যকারো সহায়তা নিষ্প্রয়োজন বলে জানান। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ কারীর সাথে বন কর্মকর্তা মকরুল ইসলামের সমঝোতা হওয়ায় দায়সারা গোসের তদন্ত সম্পূর্ণ করা হয়েছে হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন অভিযোগকারী তার অভিযোগ তুলে নিলেও সঠিক তদন্ত প্রতিবেন দাখিল করতে হবে তাকে।
Leave a Reply