এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শেরপুরের ক্ষিদির হাসড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে যুবলীগ নেতা রশিদ সরকার ও তার বাহিনী প্রতিবেশী হাসানের পরিবারের নারীদের দুই দফা মারধর বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় শেরপুর থানায় গত ৭ দিন আগে অভিযোগ দিলেও এখনও কোন ব্যবস্থা নেননি পুলিশ। এঘটনায় যুবলীগ নেতার হুমকিতে ভুক্তভোগীর পারিবার বাড়িতে ফিরতে পারছে না। যুবলীগ নেতার মারধরের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলেও তা চোখে পড়ছেনা পুলিশের।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ক্ষিদির হাসড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হাসান আলীর সাথে প্রতিবেশি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদ সরকারের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দুই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের গোড়ায় ইট ঢেকে দেয়ার জন্য মো. আনোয়ার হোসেন মাটি দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রশিদ সরকার তার বাহিনী নিয়ে ভুক্তভোগী হাসান আলীর বাড়ির ভিতরে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অতর্কিত ভাবে দুই দফা হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে শিশু আয়শা সিদ্দিকা (৪), মোছা. মমতা বেগম (৫০), মোছা. জবেদা বেগম (৭০), বিউটি বেগম (৪৫) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার শেরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে হাসান বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রশিদ সরকার সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রশিদ সরকার বলেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আমাদের জায়গায় দখলের উদ্দেশ্যে মাটি ফেললে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের লোকজনদের মারধর করে। আমাদের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।এ বিষয়ে শেরপুর থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply