নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শেরপুরে মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের বিরুদ্ধে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও তাঁর পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়াপ্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. আল আমিনের বাবা মোঃ আরসাদ আলী বাদী হয়ে মালয়েশিয়া ফেরত যুবক মোঃ সাজিবুর রহমান ওরফে রিপনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শেরপুরের সদর সিআর আমলী আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসান ভূইয়া অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. আল আমিনের বাবা আরসাদ আলী গত ৪ এপ্রিল সদর সিআর আমলী আদালতে এই অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগে সাজিবুর রহমান, তাঁর বাবা মোঃ জলিল ও সাজিবুরের স্ত্রী লাভলী বেগমকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামে। সিআর আমলী আদালতে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও বাদী আরসাদ আলীর ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী মোঃ আল আমিন বেশ কয়েক মাস আগে সাজিবুর রহমানসহ ৩০ জনকে ভালো বেতনে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে সাজিবুর রহমান কিছুদিন চাকুরি করেন। সাজিবুর ছাড়া অন্যরা বর্তমানে চাকুরিরত আছেন। এরপর সাজিবুর মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মালয়েশিয়ার সরকারি লোকের কাছে ধরা পড়লে সাজিবুরকে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সাজিবুর রহমান বাংলাদেশে এসে তাঁর কুকর্মের কথা গোপন রেখে আরসাদ আলীর ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধা মো. আল আমিন ও তাঁর পরিবারের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২৮ মার্চ মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। যা বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। অধিকন্তু সাজিবুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেমিট্যান্সযোদ্ধা আল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অসত্য বক্তব্য ও অপপ্রচার করে বাদী আরসাদ আলী ও তাঁর পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।
সিআর আমলী আদালতে দায়ের করা অভিযোগে আরসাদ আলী আরও উল্লেখ করেন যে, মালয়েশিয়া ফেরত সাজিবুর ও তাঁর সহযোগীরা দা, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত ৩ এপ্রিল বুধবার আরসাদ আলীর বাড়িতে আক্রমণ করেন এবং তাঁর নিকট ৫ লাখ চাঁদা দাবি করে প্রাণনামের হুমকি দেন। তখন আরসাদ আলীর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসলে সাজিবুর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা চলে যান। বাদী আরসাদ আলী আদালতের কাছে মালয়েশিয়া ফেরত সাজিবুরের এসব কর্মকা-ের বিচার ও শাস্তির আবেদন জানিয়ে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য সদর থানাকে আদেশ দানে আবেদন জানান। আরসাদ আলীর অভিযোগ বিষয়ে মালয়েশিয়া ফেরত সাজিবুর রহমানের কোন বক্তব্য জানা যায়নি। তবে আল আমিনের বিরুদ্ধে তিনি (সাজিবুর) মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন-এ বিষয়টি আদালত সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply