নিরেন দাস,বিশেষ প্রতিনিধি:
কিডনি পাঁচার,হত্যা,অস্ত্র উদ্ধার,গুম,ধর্ষণ,সাইবার ক্রাইম,চুরি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ সমাজে ঘটে যাওয়া সকল অপরাধ ও নিরাপদ শান্তির গঠনের লক্ষ্য নিয়ে রাজশাহীর জয়পুরহাট জেলায় নিরাপদ ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সকল অপরাধীদের আতংক জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবিপুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন।জয়পুরহাট জেলায় গোয়েন্দা শাখার ডিবিপুলিশের ওসি হিসেবে যোগদানের পরেই মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন ওসি শাহেদ আল মামুন। এর পর থেকেই বিভিন্ন মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে। জয়পুরহাট জেলার সবচেয়ে বড় একটি চক্র ছিলো তা হচ্ছে কিডনি পাঁচার। তিনি যোগাদানের পর থেকেই এই কিডনি চক্রের মূল হোতাসহ এ কিডনি সিন্ডিকেটকে নির্মূল করতেও তিনি সক্ষম হয়েছেন।থানা পুলিশের মাদক বিরোধী এবং প্রকাশ্যে চোরাচালান বাণিজ্যে বাধাগ্রস্থ করা অভিযানকে থামিয়ে দিতে কৌশল অবলম্বন করে অপরাধীরা।ওসির কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপ-প্রচার চালাতে থাকে বিশেষ একটি কুচক্রী মহল।ডিবিপুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুন জয়পুরহাটে যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতার বলে জেলার সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। সেই সাথে তিনি একজন সফল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে কিডনি পাঁচার ও চোরাচালান কারবারীদের লাগাম টেনে ধরেছে তাঁর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার টিম।ডিবিপুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুনের নেতৃত্বে জেলার বেশীর ভাগ পুলিশ সদস্যরা অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করছেন।থানা এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে থানা পুলিশের টহল থাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটাই আগের তুলনায় কমেছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। আগে অলিতে গলিতে বিভিন্ন অপরাধীরা হরহামেশাই অপরাধে লিপ্ত থাকায় অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। যেসব এলাকায় অপরাধীদের আড্ডা ছিলো সেসব এলাকার অপরাধীদের আখড়ায় ডিবির ওসি শাহেদ আল মামুন নিজেই অভিযান করেছেন।এলাকাবাসী বলেন, আগের তুলনায় জয়পুরহাট সদর থানাসহ পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ডিবিপুলিশের অভিযান বৃদ্ধি করায় অপরাধীদের আনাগোনা কমেছে।ডিবিপুলিশের মতো প্রতিদিন যদি নিয়মিত থানা পুলিশের তৎপরতা থাকে তাহলে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকান্ড করতে সুযোগ পাবে না বলে জানান সাধারণ জনগণ।জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবিপুলিশের ওসি এই জেলায় যোগদানের পর থেকে প্রতিটি এলাকায় কালাই উপজেলায় কিডনি পাঁচার চক্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যুতা সহ সকল অপরাধ কমে এসেছে। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ তার কঠোর হস্তক্ষেপে সহনশীল পর্যায় রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসীর নিকট প্রশংসায় পঞ্চমুখর ডিবিপুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুন।
জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবিপুলিশে অফিসার ইনচার্জ শাহেদ আলম মামুন বলেন,সদর থানাসহ পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ডিবিপুলিশ এলাকাবাসীকে সেবা প্রদান করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী হউক অপরাধ করলে ছাড় নাই। বর্তমান জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম এর নির্দেশে আমিসহ আমার টিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য জয়পুরহাট জেলা বাসীদের প্রতি আহ্বান থাকবে। ডিবিপুলিশের কাছে যদি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় তাহলে আমরা এসব অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। তাহলে এ দেশ একদিন অপরাধ মুক্ত দেশে রুপান্তরিত হবে বলে ডিবিপুলিশের ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন।
Leave a Reply