এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানুষের দোরগোড়ার কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ। ঈদ কে ঘিরে ঢাকায় কর্মরত ব্যাক্তিরা নারীর টানে বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে আছে। আগামী ৮ এপ্রিল হয়তবা তারা যার যার বাড়ির দিকে ছুটবে। কিন্তু তাদের মনে শংকা হয়ে দাড়িয়েছে সড়কের যানজট। এই যানযটের কারণে অনেকেই সময়মত বাড়িতে তাদের আপনজনের কাছে পৌছাতে পারেনা। বগুড়া জেলার শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের শালফা এলাকায় দুটি ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় এবারো সেই শংকা দেখা দিয়েছে তাদের মনে। তাই সড়ক বিভাগ ও মাঠ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।জানা গেছে, ঢাকা,বগুড়া, রংপুর ও পঞ্চগড়ের মহাসড়কটির ৪ লেনে উত্তীর্ন করার কাজ চলমান রয়েছে। দক্ষিনাঞ্চলে কাজ অনেকটা শেষ হলেও উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার সিরাজগঞ্জ ও শেরপুরে কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই যানজটের আশংকায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর হয়ে শেরপুর উপজেলার শালফা গ্রামের মধ্য দিয়ে দুরপাল্লার কোচ চলাচল করে। যাতে যানজট ছাড়াই তারা গন্তব্যে পৌছাতে পাড়ে। কিন্তু সেই আঞ্চলিক সড়কে দুইটি ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। নির্মান কাজের জন্য বিকল্প যে সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপরে নির্মিত বেইলী সেতুগুলো খুব ঝুকিপূর্ন। তাই আসন্ন ঈদে এই সড়কে যানজটের আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন কোচ চালক ও যাত্রীরা। তাই এই সড়কে আগে থেকেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাঠ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা।এ ব্যাপারে কোচ চালক মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক বছর ঈদে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ভোগান্তিতে পরি আমরা। সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় ব্যাপক যানজটের কারণে আমরা শহরের মধ্য দিয়ে কাজিপুর পার হয়ে শালফা এলাকা দিয়ে যাই। কিন্তু এবার ওই রোডে দুইটি ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় ব্যাপক যানজটের আশংকা রয়েছে। তাই খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমাদের এরিয়ায় যানজট এড়াতে সার্বক্ষনিক মাঠে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম বলেন, জনগনের কষ্ট লাঘব করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আসন্ন ঈদে যাতে সবাই নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে পারে সেদিকে উপজেলা প্রশাসন কড়া নজর রাখবে। এ কাজে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জনসাধরণকেও সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
Leave a Reply