এম, এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শেরপুরে এক সপ্তাহ আগে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড ও হাটে বাজারে ভালো বড় তরমুজ ৮০ টাকা কেজি টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া তরমুজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে । রমজানের প্রথম সপ্তাহে এই তরমুজ এর চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেশি হয়েছিল। আর এখন মৌসুমি এ ফলটির বর্তমানে ক্রেতাসংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর হাটখোলার হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তরমুজের কেজির চিত্র। এসময় শেরপুর হাটের আড়তদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ফরহাদ বলেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে, শেরপুরহাটে ও বাজারে। এতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ, কমেছে দাম। তবে এবার চাহিদা মতো মিলছে না পর্যাপ্ত ক্রেতা। শেরপুর হাটখোলার তরমুজ ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল বলেন রমজানের আগে একটি তরমুজ বিক্রি করেছি ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। আরেক ব্যবসায়ী জটু বাগচি বলেন আগে দাম বেশি ছিলো ক্রেতাও বেশি ছিলো আর এখন দাম কম ক্রেতা কম। এছাড়াও বিশিষ্ট তরমুজ ব্যবসায়ী সন্তোষ দাস বলেন শুধু আমরা কমদামে বিক্রি করেছি তা নয় এখন শেরপুর পৌর শহরের বিভিন্ন হাটেবাজারে তরমুজের বাজার দর কেজিতে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিনই। শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের তরমুজ ব্যবসায়ী মুহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ দিন আগে তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনেছিলাম তাই তখন দাম বেশি ছিলো। এখন পাইকারি বাজারে দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা তাই এখন ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তবে এখন কেজিতে টাকা কমেছে। বড় লোকসানের মুখে তরমুজগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি। কারণ এখন অনেক তরমুজ পচে যায় কাচা বাড়ায়।
তরমুজ ক্রেতা শাহীন আলম বলেন বর্তমানে আড়তে আমদানি বেশি ও বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তরমুজের দাম কমেছে তাই প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আমি একটা নিয়েছি। তরমুজ কিনতে আসা ব্যবসায়ী নাজির হোসেন বলেন ‘গত কয়েক দিনে তরমুজের দাম একটু বেশি ছিল। এখন দাম কম হওয়ায় ৪০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনেছি। মৌসুমী ফল তরমুজের দাম আমদানি বেশি বেশি হলে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply