গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
কর্মকর্তা ও দালাল চক্র মিলেমিশে বিছিয়ে রেখেছে দুর্নীতির জাল। ঘুষের বিনিময়ে খাস জমি, পরিত্যক্ত জমি বা অর্পিত সম্পত্তি কারও নামে বন্দোবস্ত দিচ্ছে দুর্নীতিবাজ চক্র। এদের সহায়তায় সরকারি ভূমি বছরের পর বছর অবৈধভাবে দখলে রেখেছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি।এরই মধ্যে ভূমি অফিসের দুর্নীতি দ্রুত দূর করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া দখলকৃত মানুষের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য ভূমি।দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।গাইবান্ধা সদর বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ভূমি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়, মোহাম্মদ সাজু শেখের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সাজু মিয়া ভূমি অফিসের সঙ্গে জড়িত থাকে। অথচ সে কোন সরকারি কর্মচারী নয়, একসময় সাজু মিয়া কাঠের ব্যবসা করত তার পিতার নাম মৃত মনসুর আলী তার বাড়ি বলমঝার ইউনিয়নে। এখন বল্লমঝার ভূমি অফিসে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছে সাজু মিয়া ঘুমায় ছাদ পিটানো বাড়িতে দুই লক্ষ টাকার মোটরসাইকেল ও ১০ লক্ষ টাকার জমি কিনে নেন, এত টাকা কোথায় থেকে এলো তার কাছে এবং কিভাবে ,মুখোমুখি শোনা যাচ্ছে এত টাকা কোথায় থেকে পেল। সাজু মিয়ার বাড়িতে সি আর আরএস খতিয়ানের বই এমনকি সে পরিচয় দেয় আই ভি সহকারী তহশিলদার, প্রতিদিন তার কাছে মানুষ প্রতারণায় ভুগছে। অফিসের সিসি ক্যামেরা এই সিসি ক্যামেরায় কোন মনিটর আছে বা নেই, নাকি সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে, যাতে করে ঘুষ নিতে তাদের সুবিধা হয়।
দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসগুলোর অন্যতম হচ্ছে ভূমি অফিস। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি ও হয়রানির যেন সীমা পরিসীমা নেই। ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোন সেবা পাওয়া মুশকিল। দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে সেবা প্রার্থীরা রীতিমত অসহায়। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি চলছে প্রকাশ্যে।
Leave a Reply