এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল গ্রামের মোছাঃ আজমি আরা (৪০), পিতা- আজিজুল হক, সাবরুল মোন্নাপাড়া এজাহারনামীয় একজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার বাড়ি ও হানিফুর ইসলাম হিরুর বাড়ি একই গ্রামের পাশাপাশি। হানিফুর ইসলাম হিরু বখাটে প্রকৃতির ছেলে। গত ৫ মার্চ বাদির ছেলে মিনহাজ (১৯) এর নিকট হইতে হানিফুর ইসলাম হিরু (২২), পিতা- মোঃ আঃ মালেক, সাবরুল, ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। একই তারিখ রাত্রী অনুমান সাড়ে ৮ টায় ভিকটিম জমিতে সেচ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বাহির হয়ে মোন্নাপাড়া গ্রামস্থ পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বার্মিজ চাকু, হাসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া পথ রোধ করে চাঁদার টাকা চায়। চাঁদার টাকা না দিতে চাইলে একপর্যায়ে হানিফুর ইসলাম হিরু ভিকটিমকে বার্মিচ চাকু দ্বারা আঘাত করে। ভিকটিমের মায়ের উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার মামলা নং-৫, তারিখ ০৬/০৩/২৪ ধারা-১৪৩/৩৪১/৩৮৫/৩২৩/৩২৪/ ৩২৬/৩০৭/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার পর থেকেই র্যাব আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।
এরই ফলশ্রুতিতে ৬ মার্চ র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া এর চৌকস আভিযানিক দল শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী হানিফুর ইসলাম হিরু (২২), পিতা- আঃ মালেক, সাবরুল, তদন্তে প্রাপ্ত আসামী তারেক (১৯), পিতা- জাহাঙ্গীর হোসেন, উদ্দপুর, থানা- শাজাহানপুর, বার্মিচ চাকু ১টি, বাংলা চাকু ১টি, হাসুয়া ১টি, ১টি বাটন মোবাইল, ১টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং ৭০০/-টাকাসহ গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামী হানিফুর তার এলাকায় কিশোর গ্যাং এর লিডার বলে পরিচিত। তারা সর্বদা সাথে চাকু বহন করে। কারো সাথে মতের মিল না হলে বা তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে চাকু দিয়ে কার্যসাধন করে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাজাহানপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।
Leave a Reply