এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শেরপুরে সেচযন্ত্র নিয়ে বিরোধের ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও পুরুষসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় রাতে শেরপুর থানায় দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেছেন।জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের আওলাকান্দি গ্রামের মোঃ আলা বক্স শেখ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের অগভীর নলকূপের অনুমোদন পান। পরবর্তীতে একই গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান আরেকটি অগভীর নলকূপের অনুমোদন পান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আলা বক্স শেখের লোকজন সংঘবদ্ধভাবে হাবিবুর রহমানের লোকজনের উপর হামলা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের নারী-পুরুষ সহ ১৪ জন গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন, বাচ্চু খান (৫০), আব্দুল হাই (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৫২), কে এম জাকারিয়া হোসেন (৪৩), ডলি খাতুন, শিল্পী খাতুন, ইউনুস, ফিরোজ আহম্মেদ (৩০), জয়নাল আবেদীন (৫৫), সোহেল (২৪), মন্জুর রহমান (৫০), জুয়েল রানা (২৮), আবদুল হান্নান (২৭) ও আবদুল মান্নান (৩৫)। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত আহতরা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার রাতে আসে। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম, কে এম জাকারিয়া হোসেন, বাচ্চু ও আব্দুল হাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আহত নারী ও পুরুষ অপর ১০ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে পুনরায় ওই গ্রামে যেন কোন সংঘর্ষ না ঘটে এজন্য থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি চলছে। শনিবার রাতে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
Leave a Reply