আশানুর রহমান আশা,বেনাপোল সংবাদদাতাঃ
বেনাপোল পোর্টথানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুমন ভক্ত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে এর সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নুর-ই- আলম সিদ্দিকি,যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ)।বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় বন্দর সংলগ্ন বেনাপোল বাইপাস সড়কে নবনির্মিত বেনাপোল পোর্টথানা ভবনে এই “ওপেন হাউজ ডে” অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার জন প্রতিনিধি,বেনাপোল পৌর সভা পরিষদ কার্যালয়ের প্যানেল মেয়র-৩ মজনুর রহমান মজনু, ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর,মহিলা কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ,শার্শা উপজেলাধীন ৪নং বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-বজলুর রহমান, ৩নং বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান-মোঃ মফিজুর রহমান,পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান-আব্দুল গফ্ফার সরদার সহ সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র নির্দেশনায় স্বাগতিক বক্তব্যে ওসি সুমন ভক্ত উপস্থিত সাধারণদেরকে অনুষ্ঠান উন্মুক্ত করে দেন পুলিশের কর্মকান্ডে সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে নির্ভয়ে আলোচনার জন্য। আলোচনায় বক্তারা উত্ত্যক্তের ঘটনা, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ এবং মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে পোর্টথানার ভুমিকার ভুয়ষি প্রশংসা করেন।এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে বন্দর এলাকায় যানজট নিরসণ,এলাকার কিছু সমস্যা এবং অন্যান্য অভিযোগ,অনুযোগের বিষয়ে বাস্তব মূখি পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশের করণীয় নির্দেশনা দেন প্রধান অতিথি নুর-ই-আলম সিদ্দিকি।উন্মোক্ত এ আলোচনায় প্রধান অতিথি যশোর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার স্যার,এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে “ওপেন হাউস ডে” র শুভেচ্ছা জানিয়ে এ বক্তব্যে বলেন-“ওপেন হাউস ডে”র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পরামর্শে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। দেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ মূলমন্ত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন সারাদেশে প্রতি থানায় ‘ওপেন হাউস ডে’ পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সাথে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।তিনি বলেন, “এতে করে সাধারণ মানুষ থানা থেকে কেমন সেবা পাচ্ছেন, ওই এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, কেন ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে পুলিশ সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এমন সহযোগীতার অবস্থা চলতে থাকলে সীমান্ত এলাকায় অপরাধের সমস্ত বিষয় দুরকরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন”।উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে থানায় থানায় “ওপেন হাউস ডে” বা উন্মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা চালু হয়েছিল ২০০৭ সালে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)’র নেওয়া এ উদ্যোগ তখন প্রশংসা পেয়েছিল। পরে দেশের অন্য থানাগুলোতেও এটি শুরু হয়।
তবে, ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এর কার্যক্রম কিছুটা রহিত হয়। যদিও এই সময়টাতে দেশের কিছু থানায় অনিয়মিতভাবে এ সভার আয়োজন করা হয়। এখন থেকে পুলিশের এ ধরণের উন্মুক্ত আলোচনা সভা নিয়মিত ভাবে প্রচলণ থাকবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
Leave a Reply