এস,এম,শামীম (ফুলপুর)ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলায় অবস্হিত দর্শনার্থীদের জন্য সৌন্দর্যময় উপভোগের অন্যতম ২টি স্হান গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও মধুটিলা ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে।প্রকৃতি প্রেমী মানুষজন প্রকৃতিকে ভালোবেসে প্রিয়জনদের নিয়ে কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ও প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুরতে আসেন শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্রে।ভারতের মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে ও বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে অরণ্যরাজি আর গারো পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড়ী নদী ভোগাই, চেল্লাখালি, মৃগী, সোমেশ্বরী, মালিঝি, মহারশীর ঐশ্বরিক প্রাচুর্যস্নাত অববাহিকায় সমৃদ্ধ হয়েছে শেরপুর জনপদটি। জেলার বিশাল অংশ জুড়ে গাড়ো পাহাড়ের বিস্তৃতি ঘটেছে। লাল মাটির উঁচু পাহাড়, গহীন জঙ্গল, টিলা, মাঝে সমতল ভূমি। দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছন্দ তুলে বহমান পাহাড়ি ঝর্ণা এগিয়ে গেছে। এতোসব প্রাকৃতি সৌন্দর্য্যের মধ্যেও কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের অনেক সংযোজন ঘটেছে এখানে। পাহাড়ের ঢালে, গায়ে অথবা পাহাড় চূড়ায় সারি সারি শাল, সেগুন, মহুয়া, গজারি, আকাশমনি, ইউকেলিপটাস, মিলজিয়ামসহ আরও নাম না জানা শত শত পাহাড়ি গাছ, বনফুল রয়েছে। যাবার পথে রাংটিয়া ছেড়ে কিছুদূর এগুলে দুপাশে গজারি গাছের ছাউনিতে ঢাকা কালো পিচঢালা পথটি সবার নজর কাড়বে। দুই পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ি ঝর্ণা একে-বেঁকে এগিয়ে চলেছে। ঝর্ণার পানি এসে ফুলে ফেঁপে উঠছে। সেখানে বাঁধ দিয়ে তির করা হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ। হ্রদের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় ও পাহাড়ের উপরে লেক ভিউপেন্টাগন। সেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে দোদুল্যমান ব্রিজ। নৌ-ভ্রমণের জন্য পদচালিত নৌকাসহ ময়ূরপঙ্খী নাও। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে। এখান থেকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের সীমানা চোখে পড়ে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। পাহাড় চূড়ায় মেঘের মিতালি দেখা যায়। কৃত্রিম পাতাল পথটি পাতালপুরী নামে পরিচিত।একই জেলার পাশাপাশি উপজেলা নালিতাবাড়ী। নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পোড়াগাও।সীমান্তবর্তী এলাকার পোড়াগাও ইউনিয়নে অবস্থিত অন্যতম আরো একটি সুন্দর্যের অংশ, পরিবেশ-উদ্যান মধুটিলা ইকোপার্ক। ১৯৯৯ সালে এই বনকে পরিবেশ-উদ্যান বা ইকোপার্ক ঘোষণা দেয়া হয়। এই পার্কের আয়তন ৩৮৩ একর।এখানে আছে সাইটভিট টাওয়ার, লেক, প্যাডেল বোট, স্টার ব্রিজ, মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, রেস্টহাউসসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়াও আছে ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির গাছ, মৌসুমি ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান। পার্কটিতে জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীর সমাহারও চোখে পড়বে।সেই প্রেক্ষিতে ভ্রমন কেন্দ্রগুলো উপভোগ করতে ফুলপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ১৬ জানুয়ারি রোজ শুক্রবার সাংবাদিকদের পরিবার ও সকল সদস্যদের নিয়ে এক আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করেন ফুলপুর প্রেসক্লাব কতৃপক্ষ।ভ্রমনকালীন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার সৃষ্টিতে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় ফুলপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিক ভ্রমণার্থীদের।গজনী ভ্রমন শেষে মধুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা পথে হঠাৎ সাংবাদিকদের গাড়ি লক্ষ করে বহিরাগতদের দ্বারা ঢিল ছুড়া হয়। এসময় যাত্রীবাহী গাড়ির জানালার একটি অংশ খুলা থাকায় এক সাংবাদিক যাত্রীর গাঁয়ে এসে ঢিলটি আঘাত হানে।জানালার পাশেই ২ বছর বয়সী শিশু সন্তান অভিকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন ফুলপুর প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হৃদি মোতালেব ও তাহার স্ত্রী।অল্পের জন্য শিশুটি রক্ষা পেলেও পাশ কাটিয়ে পাশাপাশি সিটে বসে থাকা, প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য, মানবাধিকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন “জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইট এন্ড ওয়েলফেয়ার” ফুলপুর শাখার সমাজকল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক পরিবর্তনের ফুলপুর উপজেলা সংবাদ প্রতিনিধি, সাংবাদিক এস,এম, শামীম এর গায়ে এসে পড়ে।এতে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হলেও বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।সাংবাদিক হৃদি মোতালেব বলেন আমার কোলে থাকা শিশু সন্তানের মাথার ওপর দিয়ে ঢিলটি গিয়ে পাশের সিটে থাকা এক সহকর্মীর শরীরে এসে পড়ে। অল্পের জন্য বিপদ থেকে বাচ্চাটি রক্ষা পেয়েছে। যদিও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেটি তবে বড় ধরণের দুর্ঘটনার মত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিলা।বেলা শেষে সন্ধ্যা মুহূর্তে মধুটিলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে ভের হয়ে ফেরার পথে, একটু পরেই আবার সেই একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাস্তার পাশে ঝোপের আড়াল থেকে বহিরাগতদের দ্বারা আবার একটি ঢিল এসে আঘাত করে যাত্রীবাহী গাড়ির জানালাতে। এসময় গাড়ির জানালা বন্ধ থাকায় ঢিলটি গাড়ির গ্লাসে এসে পড়ে। এতে বিকট শব্দে সৃষ্টি হয়।
এসময় সকলে আতঙ্কিত হয়ে যায়।যা আগত ভ্রমন পিপাসুদের জন্য অন্যতম একটি ভীতিকর কারণ।ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য সত্যিই এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা যা কোন ক্রমেই কাম্য নয়।এমন ন্যাক্রকারজনক ঘটনার জন্য সাংবাদিক দের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেই সাথে আগত ভ্রমন প্রেমিদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে, পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও শেরপুর জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা সহ ভ্রমণার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।।
Leave a Reply