এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে রেজিয়া বেগম (৬৫) নামের এক অসহায় বৃদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা কেটে নষ্ট করে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গত ৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের সাগাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগাটিয়া গ্রামের মৃত আইনুদ্দিনের মেয়ে রেজিয়া বেগমের সাথে একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের সাথে বিয়ে হয়। গত ৩০ বছর আগে রেজিয়া বেগম ওয়ারিশ সূত্রে পিতার ৪২ শতক জমি পায়। সাংসারিক প্রয়োজনে তিনি সেখান থেকে ১৬ শতক জায়গা বিক্রি করে দেন। বাকি ২৬ শতক জায়গার উপর বসত বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এতমাস্থায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশী মৃত জলিল উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৬৫) তার ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩৭), বেলাল হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলম (৩৫) ও আব্দুল খালেক সহ ৫/৬ ব্যক্তি জমিজমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রেজিয়া বেগমের বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা কেটে নষ্ট করে দেয়। বাড়িতে যাবার একমাত্র রাস্তাটি কেটে নষ্ট করে দেওয়ার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধা রেজিয়া বেগমের অসহায় পরিবারটি।ভূক্তভোগীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ কর্মীদের জানান, আমরা ৪ ভাই কেউ বাড়িতে থাকি না। কর্মের তাগিতে বাইরে বসবাস করি। শুধু আমার বাবা-মা বাড়িতে অবস্থান করেন। এবং আমার মা নিজের সম্পত্তিতে রাস্তা নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছেন। প্রতিবেশি ইব্রাহিম হোসেন জমিজমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি কেটে নষ্ট করে দিয়েছেন। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম হোসেনের ভাই শাহিনুর ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, রেজিয়া বেগমের পরিবার আমাদের ৫ শতক জমি দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। তার বাড়ির পাশেই আমার ভাইয়ের পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের দুই সাইট কেটে পরিষ্কার করছেন আমার ভাই ইব্রাহিম। সেই পুকুরের পাড় দিয়ে তারা বাড়িতে যাতায়াত করেন। রাস্তা নষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ জেমস মল্লিক বলেন, সাগাটিয়া গ্রামের রেজিয়া বেগমের পরিবারের চলাচলের রাস্তা কেটে নষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি। আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এবং তাদের দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
Leave a Reply