1. info@dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত : দৈনিক আশার দিগন্ত
  2. info@www.dainikashardigonto.com : দৈনিক আশার দিগন্ত :
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় শিবিরের সাবেক সদস্য ও সাথীদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈর চন্দ্রা ত্রিমোড় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। বগুড়া ধুনটে হিরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক বগুড়ায় ২০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড ভ্যানসহ ইসমাইল গ্রেপ্তার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বগুড়া ধুনট সরুগ্রামের ইজতেমা জয়পুরহাটে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সদর চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবীনগর ইউনিয়নে আত-তাওহীদ একাডেমির শুভ উদ্বোধন , দোহারে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ৭ জনের কারাদন্ড গৌরীপুরে যুবদলের উদ্যোগে গুম খুন বিচারের দাবীতে জনসভা অনুষ্ঠিত ইদিলপুর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষা’র সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

আজ মহারাজা স্কুলের মাইন ট্র্যাজেডি দিবস

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

লিটন,দিনাজপুরঃ

আজ ৬ জানুয়ারি, দিনাজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ হাইস্কুলের ট্রানজিট ক্যাম্পে ১৯৭২ সালের এই দিনে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরণে পাঁচ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন। দেশে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এটিই সর্ব বৃহৎ ট্র্যাজেডির ঘটনা।ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনের পর দিনাজপুর শহরের উত্তর বালুবাড়ীর মহারাজা হাইস্কুলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ট্রানজিট ক্যাম্প। পাকিস্তানি সেনাদের পুঁতে রাখা এবং ফেলে দেওয়া মাইন ও গোলাবারুদ অপসারণের কাজে নেমে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা।দিনাজপুর শহরের মহারাজা স্কুলে সমবেত হন দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ আশপাশের কয়েকটি জেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা।তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকটি গ্রুপ সকালে বেরিয়ে পড়তেন পাকিস্তানি সেনাদের পুঁতে রাখা ও পড়ে থাকা মাইন, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের সন্ধানে। সন্ধ্যার দিকে উদ্ধারকৃত মাইন ও অস্ত্রশস্ত্র এনে জমা করা হতো মহারাজা স্কুলের মাঠের পশ্চিম দিকে মসজিদের পাশে খনন করা খালে।

ধারণা করা হয়, ১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উদ্ধারকৃত অস্ত্র বাংকারে নামানোর সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত থেকে একটি মাইন পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাংকারের পুরো অস্ত্রভান্ডার বিস্ফোরিত হয়। ভয়ানকভাবে কেঁপে ওঠে দিনাজপুরের মাটি। আগুনের লেলিহান শিখায় আলোকিত হয়ে ওঠে গোটা শহর। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং বহুসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। ওই দিন মাইন বিস্ফোরণে শুধু মুক্তিযোদ্ধা নন, উত্তর বালুবাড়ী কুমারপাড়া মহল্লায় আরও অনেক অধিবাসী মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনার পর শহরের সকল স্তরের মানুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিত ও মৃতদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যাঁরা আহত ছিলেন তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।সেই থেকে দিনটি মহারাজা স্কুল ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করা হয় হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় স্মৃতি পরিষদ এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
𝐂𝐫𝐚𝐟𝐭𝐞𝐝 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐛𝐲: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓